চলে গেলেন দিতি
পক্ষকাল ডেস্কঃ রোববার বিকালে ইউনাইটেড হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালটির কাস্টমার সার্ভিসের কর্মকর্তা আরিফ রহমান নিশ্চিত করেছেন।
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব মুশফিকুর রহিম গুলজার পরে জানিয়েছেন, মৃতদেহ আপাতত হাসপাতালেই রাখা হবে। সোমবার দুপুরে দিতির গ্রামের বাড়ী সোনারগাঁওয়ে নেয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে তার মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
আর গুলশান আজাদ মসজিদে এশার নামাজের পর অনুষ্ঠিত হবে তার প্রথম জানাজা। বিএফডিসিতে সোমবার সকালে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় জানাজা।
দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থতা বোধ করছিলেন মধ্য বয়সী অভিনেত্রী দিতি। দেশের বেশ কয়েকটি হাসপাতালেই চিকিৎসা নিয়ে সন্তুষ্ট হতে না পেরে মাদ্রাজ ইন্সটিটিউট অব অর্থোপেডিকস অ্যান্ড ট্রমাটোলজি হাসপাতালে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ভর্তি হন। সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, তার মস্তিষ্কে টিউমার জন্ম নিয়েছে। ২৫ জুলাই ভর্তির পর সেখানেই সফলভাবে অস্ত্রোপচার হয় তার।
পরবর্তীতে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে আবারও মাদ্রাজ যান। টিউমার অপসারণ করা হলেও যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাননি। অস্ত্রোপচারের পর কেমোথেরাপি দেয়া হচ্ছিল তাকে। পরে দেশে ফিরে এসে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
দিতি দেশে ফেরার পরই তার চিকিৎসার্থে তার মেয়ের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইউনাইটেড হাসপাতালেই শেষ পর্যয়ন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
১৯৮৪ সালে ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ কার্যক্রমের মাধ্যমে ঢাকাই সিনেমাতে পা রাখেন দিতি। উদয়ন চৌধুরী পরিচালিত ‘ডাক দিয়ে যাই’ ছিল তার ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমা। দিতি অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আমিই ওস্তাদ’। ১৯৮৭ সালে সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘স্বামী-স্ত্রী’ ছবিতে অভিনয়ের সুবাদে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয় করেন দিতি। তার অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে ‘দুই জীবন’, ‘উছিলা’, ‘লেডি ইন্সপেক্টর’, ‘খুনের বদলা’, ‘আজকের হাঙ্গামা’, ‘স্নেহের প্রতিদান’, ‘শেষ উপহার’, ‘অপরাধী’, ‘কালিয়া’, ‘কাল সকালে’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তার শেষ মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘সুইটহাটর্’। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি টিভি নাটকেও জনপ্রিয় মুখ ছিলেন দিতি। বেশ কয়েকটি টিভি সিরিয়ালেও অভিনয় করেছেন। রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠানও উপস্থাপনা করেছেন। দিতি এক মেয়ে লামিয়া চৌধুরী এবং এক ছেলে দীপ্ত চৌধুরীকে রেখে গেছেন।