উপচে পরা সুসময়ের কোকিল! আওয়ামী লীগে
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, তাঁতী লীগ ও যুব মহিলা লীগ দলের সহযোগী সংগঠন। এ ছাড়া ছাত্রলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদকে ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নামে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা ভুঁইফোড় সংগঠনের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে অনেক নেতা ক্ষমতা ও চাঁদাবাজি করার জন্য সংগঠনের নামে ‘রাজনীতির দোকান’ খুলে বসেছেন। তিনি বলেন, চারদিকের পোস্টার-বিলবোর্ড দেখলে মনে হয় ঢাকা শহর নেতা তৈরির কারখানা। আতি নেতা, পাতি নেতা, সিকি নেতা ও হাইব্রিড নেতারা দলকে বেশি দুর্বল করছে। তাদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। শুধু জিনিসপত্রের মধ্যে নয়, দলের মধ্যেও ভেজাল ঢুকে গেছে।
আওয়ামী লীগ সমর্থক ভুঁইফোড় সংগঠনের সংখ্যা গত দুই বছরে অনেক বেড়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একশ্রেণির মানুষ যেভাবে লম্বা লম্বা বুলি ঝাড়ছে, ত্যক্তবিরক্ত দেশবাসী ব্যাপারটিকে ‘অতি আওয়ামী লীগার সাজার প্রতিযোগিতা’ বলে অভিহিত করছেন। যারা জীবনে কখনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, এমনকি তাদের চৌদ্দগোষ্ঠীর কেউ কখনো বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণও করেননি বা দলটির সমর্থকও ছিলেন না, তাদেরই এখন বুক চিতিয়ে নিজেদের আওয়ামী লীগার বলে জাহির করতে দেখা যায়। এদের চোটপাট ও আস্ফালন দেখে দীর্ঘদিনের ত্যাগী-পরীক্ষিত আওয়ামী লীগ নেতারা হতাশার সুরে বলছেন, ‘এত আওয়ামী লীগার আমরা রাখব কোথায়!’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ১৯৭৫-এর আগেও এ ধরনের আওয়ামী লীগারের উৎপাত বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ১৫ আগস্টের পর লণ্ঠন হাতে পইপই করে খুঁজেও ওই অতি উৎসাহী আওয়ামী লীগারদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তখন ত্যাগী নেতারাই দলের হাল ধরতে এগিয়ে আসেন। দীর্ঘ ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ফের হাইব্রিড আওয়ামী লীগারদের উপদ্রব শুরু হয়। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের পরও দলের চরম দুর্দিনে সেই হাইব্রিড-ভুঁইফোড়রা হাওয়া। মামলা-হামলা, জেল-জুলুম সবকিছুই মোকাবিলা করেছেন খাটি ও ত্যাগীরাই।
২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর ভুঁইফোড়দের আত্মপ্রকাশের হিড়িক লেগে যায়। তারা নানা কিসিমের ‘সংগঠন’ বানায় এবং ‘নেতা’ হয়ে ছড়ি ঘোরায়। গত দুই বছরে আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযোদ্ধা, বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের নামে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে হাস্যকর ও অশোভন চেহারার অনেক সংগঠন। খোদ রাজধানীতেই দুই থেকে আড়াই শতাধিক এই সংগঠনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেছে। তারা জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, সিরডাপ, পাবলিক লাইব্রেরি, জাতীয় জাদুঘর ও মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরে হল রুম ভাড়া করে অনুষ্ঠান করে থাকে। আলোচনা সভার নামে মূলত এক ধরনের চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হন সংগঠনের নেতারা। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, এদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে গভীর আগ্রহের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের কেউ কেউ প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কৃত করছেন। অবস্থার দৃষ্টে রসিকজনরা বলেন, ‘মলমেই তো ঘা, শরীরের ক্ষত সারবে ক্যামনে?’
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এসব ভুঁইফোড় সংগঠনের সত্যিকারের লক্ষ্য যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন হয়, তাহলে তাদের খারাপ বলব না। কিন্তু যদি উদ্দেশ্য ভিন্ন থাকে তাহলে গ্রহণযোগ্য নয়।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নেতা এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বর্তমানে ও অতীতে দেখছি যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে, তখন দলের স্বীকৃত ৬টি সহযোগী ও দুটি ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাড়াও আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ নামে ব্যাঙের ছাতার মতো ভুঁইফোড় সংগঠন গজিয়ে ওঠে। আবার আমাদের দলের কিছু নেতা এদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন, তাদের সভা-সমাবেশে গিয়ে বক্তব্য রাখেন। ফলে তারা অনৈতিক সুবিধা আদায় করতে চায়। তারা দলের আদর্শ বাস্তবায়নের চেয়ে নিজেদের আখের গোছায়, দখলবাজি করে। এতে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এসব সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ বলেন, কিছু নাম সর্বস্ব সংগঠনের খবর শুনি। তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনও সম্পর্ক নেই। এগুলোর লাগাম টানার চেষ্টা চলছে বলেও উল্লেখ করেন হানিফ।
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজি জাফরউল্যাহ বলেন, দলের কিছু সমর্থক নাম সর্বস্ব কিছু সংগঠন গড়ে তুলে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে। ক্ষমতায় আসার পর এসব সংগঠন গজিয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, এটাও সত্যি আমাদের কোনও কোনও নেতা এসব সংগঠনের অনুষ্ঠানে যান। সেখানে বক্তব্য দিয়ে তাদের জিইয়ে রাখেন। যা সত্যিই দুঃখজনক।
নিবন্ধন, গঠনতন্ত্র ও কার্যালয় কিছুই নেই।ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে এইসব সংগঠন।কেন্দ্রীয়ভাবেও নেই কোনো স্বীকৃতি। সংগঠনের নেতা-কর্মীও হাতেগোনা।এসব সংগঠনের নেতা-কর্মীদের দাবি,তারা আওয়ামী লীগের অঙ্গ বা ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন। দলের জন্য তারা কাজ করেন। বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন। তাদের দাবি, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এবং সরকারের উন্নয়নের সহযোগী।
তবে অনুসন্ধানে জানা গেছে, এসব সংগঠনের নামে সুবিধা আদায় করাই তাদের মূল লক্ষ্য। অভিভাবক লীগ, শিশু লীগ, আওয়ামী বাস্তুহারা পরিষদ, দর্জি লীগ, বঙ্গবন্ধু লেখক লীগ, জননেত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় লীগ, জননেত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় সংসদ নামে উদ্ভট সংগঠন গড়ে তোলার কাজ দিন দিন বাড়ছেই। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, দল যেহেতু ক্ষমতায়, তাই এসব সংগঠন রাজনীতির দোকান খুলে বসেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ, স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলের নাম ভাঙিয়ে চলছে এসব সংগঠন। অনেক সংগঠন তাদের ঠিকানা ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় দাবি করলেও সেখানে তাদের কোনো অফিস বা দফতরও নেই।
আওয়ামী লীগের অনেক নেতা কর্মীদের অভিযোগ এইসব ভুঁইফোড় সংগঠনগুলোকে অনেক শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা এদেরকে অনেক ক্ষেত্রে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে থাকে। তাদেরকে দেখা যায় এইসব নাম সর্বস্ব ভুঁইফোড় সংগঠনের ব্যানারের পিছনে।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, তাঁতী লীগ ও যুব মহিলা লীগ দলের সহযোগী সংগঠন। এ ছাড়া ছাত্রলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদকে ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এসব সংগঠনের পাশাপাশি নতুন গজিয়ে ওঠা সংগঠনও দিবসভিত্তিক কর্মসূচি পালনে সক্রিয় থাকে।
12910940_10207535280357725_2040605062_n
নতুন করে উদ্ভব হয়েছে শিশু লীগ, আওয়ামী দর্জি লীগ, আওয়ামী চালক লীগ, জননেত্রী চিন্তা লীগ, আওয়ামী সমবায় লীগ, আওয়ামী প্রচার ও প্রকাশনা লীগ, আওয়ামী ছিন্নমূল হকার্স লীগ, আওয়ামী মোটরচালক লীগ, আওয়ামী তরুণ লীগ, হারবাল লীগ, দেশীয় চিকিৎসক লীগ, বঙ্গবন্ধু হোমিওপ্যাথি লীগ, আওয়ামী রিকশা মালিক-শ্রমিক ঐক্য লীগ, আওয়ামী যুব হকার্স লীগ, আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ, আওয়ামী পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা লীগ, আওয়ামী পরিবহন শ্রমিক লীগ, আওয়ামী নৌকার মাঝি শ্রমিক লীগ, আওয়ামী ক্ষুদ্র মত্স্যজীবী লীগ, আওয়ামী যুব সাংস্কৃতকি জোট, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা গবেষণা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, বঙ্গবন্ধু একাডেমি, বঙ্গবন্ধু নাগরিক সংহতি পরিষদ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, বঙ্গবন্ধু লেখক লীগ, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ, বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদ, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ, বঙ্গবন্ধু বাস্তুহারা লীগ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী হকার্স ফেডারেশন, বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারা বাস্তবায়ন পরিষদ, বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ, বঙ্গবন্ধু গ্রামডাক্তার পরিষদ, বঙ্গবন্ধু নাগরিক সংহতি পরিষদ, বঙ্গবন্ধু লেখক লীগ, বঙ্গবন্ধু গবষেণা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু আদর্শ পরিষদ, আমরা মুজিব সেনা, আমরা মুজিব হবো, চেতনায় মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সৈনিক লীগ, মুক্তিযোদ্ধা তরুণ লীগ, নৌকার সমর্থক গোষ্ঠী, দেশীয় চিকিৎসক লীগ, ছিন্নমূল মত্স্যজীবী লীগ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী লীগ, নৌকার নতুন প্রজন্ম, ডিজিটাল ছাত্রলীগ, ডিজিটাল আওয়ামী প্রজন্ম লীগ, ডিজিটাল আওয়ামী ওলামা লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী পর্যটন লীগ, ঠিকানা বাংলাদেশ, জনতার প্রত্যাশা, রাসেল মেমোরিয়াল একাডেমি, জননেত্রী পরিষদ, দেশরত্ন পরিষদ, বঙ্গমাতা পরিষদ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব পরিষদ, আমরা নৌকার প্রজন্ম, আওয়ামী শিশু যুবক সাংস্কৃতিক জোট, তৃণমূল লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বাধীনতা লীগ, নৌকার মাঝি শ্রমিক লীগ, হোটেল শ্রমিক লীগ, আওয়ামী হকার্স লীগ, আওয়ামী ছিন্নমূল হকার্স লীগ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী লীগ, বাস্তুহারা লীগ, সৈনিক লীগ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, আওয়ামী সৈনিক প্লাটুন, আওয়ামী মোটরচালক লীগ, মোটর শ্রমিক লীগ, রিকশা মালিক লীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক লীগ, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ, বঙ্গবন্ধু গণতান্ত্রিক লীগ উল্লেখযোগ্য।
এ ছাড়াও বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে বঙ্গমাতা, জননেত্রী, দেশরত্ন, শেখ রাসেল, শেখ কামাল, জয়বাংলা, চেতনা, স্মৃতি, ডিজিটাল, আওয়ামী প্রচার ও প্রকাশনা লীগ, আওয়ামী সমবায় লীগ, আওয়ামী ছিন্নমূল হকার্স লীগ, আওয়ামী মোটরচালক লীগ, আওয়ামী তরুণ লীগ, হারবাল লীগ, দেশীয় চিকিৎসক লীগ, বঙ্গবন্ধু হোমিওপ্যাথি লীগ, আওয়ামী রিকশা মালিক-শ্রমিক ঐক্য লীগ, আওয়ামী যুব হকার্স লীগ, আওয়ামী পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা লীগ, আওয়ামী পরিবহন শ্রমিক লীগ, আওয়ামী নৌকার মাঝি শ্রমিক লীগ, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা গবেষণা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, বঙ্গবন্ধু একাডেমি, বঙ্গবন্ধু নাগরিক সংহতি পরিষদ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, বঙ্গবন্ধু লেখক লীগ, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ, বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদ, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ, বঙ্গবন্ধু বাস্তুহারা লীগ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী হকার্স ফেডারেশন, বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারা বাস্তবায়ন পরিষদ, বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ, বঙ্গবন্ধু গ্রামডাক্তার পরিষদ, বঙ্গবন্ধু নাগরিক সংহতি পরিষদ, বঙ্গবন্ধু লেখক লীগ, বঙ্গবন্ধু গবষেণা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু আদর্শ পরিষদ, আমরা মুজিব সেনা, আমরা মুজিব হবো, চেতনায় মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সৈনিক লীগ, মুক্তিযোদ্ধা তরুণ লীগ, নৌকার সমর্থক গোষ্ঠী, দেশীয় চিকিৎসক লীগ, ছিন্নমূল মত্স্যজীবী লীগ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী লীগ, নৌকার নতুন প্রজন্ম, ডিজিটাল ছাত্রলীগ, ডিজিটাল আওয়ামী প্রজন্ম লীগ, ডিজিটাল আওয়ামী ওলামা লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী পর্যটন লীগ, ঠিকানা বাংলাদেশ, জনতার প্রত্যাশা, রাসেল মেমোরিয়াল একাডেমি, জননেত্রী পরিষদ, দেশরত্ন পরিষদ, বঙ্গমাতা পরিষদ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব পরিষদ, আমরা নৌকার প্রজন্ম, আওয়ামী শিশু যুবক সাংস্কৃতিক জোট, তৃণমূল লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বাধীনতা লীগ, নৌকার মাঝি শ্রমিক লীগ, হোটেল শ্রমিক লীগ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী লীগ।
এ ছাড়াও বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে বঙ্গমাতা, জননেত্রী, দেশরত্ন, শেখ রাসেল, শেখ কামাল, জয়বাংলা, চেতনা, স্মৃতি, ডিজিটাল, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ শব্দ এবং ক্ষমতাসীন দলের নাম ব্যবহার করে সাইনবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার সেঁটে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেয় দুই থেকে আড়াই শতাধিক সংগঠন।