মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ | রাজনীতি » তারেকের ‘রেড নোটিস’ প্রত্যাহারে পুলিশেও বিস্ময়
তারেকের ‘রেড নোটিস’ প্রত্যাহারে পুলিশেও বিস্ময়
ওয়ান্টেড তালিকা থেকে কী কারণে তারেক রহমানের নামটি ইন্টারপোল সরিয়ে নিয়েছে, তার ‘সন্তোষজনক’ ব্যাখ্যা সংস্থাটি থেকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে
একুশ অগাস্ট গ্রেনেড মামলায় অভিযুক্ত তারেকের নামে গত বছরের এপ্রিলে রেড নোটিস জারি করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)। সংস্থার ওয়েবোইটে তা তোলাও হয়।কয়েকদিন ধরে ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে তারেকের নামে নোটিসটি দেখা যাচ্ছে না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার বলেন, ইন্টারপোল ওই নোটিস প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
এনিয়ে আলোচনার মধ্যে সোমবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করে তারা ইন্টারপোলের কাছ থেকে ‘সন্তোষজনক’ সাড়া পাচ্ছে না।
“রেড নোটিস প্রত্যাহার করার পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ইন্টারপোলে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, তারেক রহমান প্রটেকটিভ স্ট্যাটাস-এ আছে বলেই তার রেড নোটিস বাতিল করার সুযোগ রয়েছে।”
“প্রটেকটিভ স্ট্যাটাস বিষয়টি বোধগম্য না হওয়ায় কে বা কোন দেশ তাকে প্রটেকটিভ স্ট্যাটাস প্রদান করেছে ইন্টারপোলের কাছে জানতে চাওয়া হলে সন্তোষজনক কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।”
খালেদা জিয়ার ছেলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক বিভিন্ন মামলা মাথায় নিয়ে ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলায় হুলিয়া জারির পর তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিস জারি হয়।
তারেকের বাংলাদেশি পাসপোর্ট মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর তা নবায়ন করা হয়নি বলেও সরকারের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো ইতোপূর্বে জানিয়েছিল।
ইন্টারপোলের বাংলাদেশ শাখা মনে করছে, লন্ডনে থেকে তারেক বিভিন্ন লবির মাধ্যমে কমিশন ফর দি কনট্রোল অব ইন্টারপোল ফাইলসের (সিসিএফ) কাছে বিকৃত ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করে রেড নোটিসটি বাতিল করিয়েছেন।
২০০৪ সালে ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলায় ২২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় তারেকের বিরুদ্ধে মামলাটি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক নয় দাবি করে পুলিশ বলেছে, বিচারাধীন মামলার পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করার বিষয়ে ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হয়ে থাকে।
“বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক দেওয়া সকল তথ্য যাচাই করেই ইন্টারপোল কর্তৃপক্ষ রেড নোটিস জারি করে।”
তারেকের রেড নোটিস প্রত্যাহারের পর প্যারিসে ইন্টারপোল সদর দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সেইসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “ইন্টারপোলের রেড নোটিস প্রত্যাহার কোনোভাবে কোনো অপরাধীকে ফৌজদারি অপরাধ থেকে দায় মুক্তি প্রদান করে না।”