বুধবার, ৩০ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » শৈলকুপায় সেটেলমেন্ট অফিসের পেসকার ও রেকর্ড কিপারের ঘুষ-দূর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ
শৈলকুপায় সেটেলমেন্ট অফিসের পেসকার ও রেকর্ড কিপারের ঘুষ-দূর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ
শামীমুল ইসলাম শামীম,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের পেসকার জাহাঙ্গীর আলম ও রেকর্ড কিপার বসির আহম্মেদসহ যশোর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের কতিপয়
কর্মকর্তা-কর্মচারির বিরুদ্ধে ঘুষ-দূনীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মন্ত্রনালয়ের আদেশে তামাদি বা আপীল পারমিশন কেচ বাতিল হওয়ার পরই শৈলকুপা সেটেলমেন্ট অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের জোকসাযসে বাতিল হওয়া প্রায় সাড়ে তিনশত পারমিশন কেচের মধ্য থেকে ৬০/৭০ টি পারমিশন কেচ ২০ লক্ষাধিক টাকার ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে শৈলকুপা সেটেলমেন্ট অফিসের পেসকার,রেকর্ড কিপার ও জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা -কর্মচারিরা ব্যাপক ঘুষ-দূনীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে বাতিল হওয়া কেচগুলি আবারো জালিয়াতির মাধ্যমে রেগুলার কেচ হিসাবে অর্ন্তরভুক্ত করে সুকৌশলে ব্যপক টাকা হাতিয়ে নেয় যশোর জোনাল অফিসকে ম্যানেজ করে এসকল কাজ করে থাকেন কতিপয় সেটেলমেন্টের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।পেসকার জাহাঙ্গীর
আলম,যিনি একাধারে অফিসের পেসকার,টেবিলের পেসকার,সার্ভেয়ারেরও পেসকারও বটে।সব ফাইল থেকেই তিনি ঘুষ বানিজ্য নিয়ে থাকেন,তাকে টাকার ভাগা না
দিয়ে কোন অবৈধ্য কাজই শৈলকুপা সেটেলমেন্ট অফিসে হয় না। যশোর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার,শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শৈলকুপা সহকারী কমিশনার (ভ’মি)বরাবর ঘুষ-দূনীতি,জালিয়াতির অভিযোগ করেও এখন পর্যন্ত এর কোন প্রতিকার পাননি ভুক্তভুগি ব্যক্তিগন বরং ঘুষখোর-দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারিরা বীরদর্পে,কোন আইনের তোয়াক্কা না করে বহাল তবিয়তে বে-পরোয়া ভাবে ঘুষবানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। সূত্রে জানা গেছে,শৈলকুপা সেটেলমেন্টের জালিয়াতি মৌরি ভূমিদস্যু আবতাব হোসেনের যোগশাযসে শৈলকুপা সেটেলমেন্ট অফিসের প্রধান পেসকার ও রেকর্ড কিপার বসির আহম্মেদ সহ কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারির যোগশাযসে শৈলকুপা সেটেলমেন্ট অফিসেরতামাদিআপীলপারমিশনকেচগুলিযাহারসিভিনাম্বারযথাক্রমে১৬৮৩৩,১৬৮৩৪,১৬৮৩৫,১৬৮৩৬,১৬৮৩৭,১৬৮৩৮ ও ১৬৮৩৯ (পেসকার জমা ফলিও নাম্বার-১৮৩৭৩,১৮৩৭৪,১৮৩৭৫,১৮৩৭৬,১৮৩৭৭,১৮৩৭৮) জালিয়াতি ভাবে ও ব্যাপক ঘুষ-বানিজ্যের মাধ্যমে উক্ত তামাদি আপীল পারমিশন কেচগুলি রেগুলার কেচ হিসাবে যশোর জোনাল অফিসে আবারও দাখিল করেছে।যাহা ঝিনাইদহ সদর সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার জনাব মতিয়ার রহমানের আদালতে আপত্তি শুনানী শেষে ০১/১১/২০১৫ ইং তারিখে আদেশ হয়।তামাদি বা পারমিশন কেচগুলি এরআগেও যশোর জোনাল অফিসার পারমিশন দিতেন বিচারের জন্য।কিন্তু হঠাৎ ভূমি-মন্ত্রনালয় থেকে একটি আদেশ আসে পহেলা সেপ্টেম্বর ২০১৫ থেকে সকল তামাদি বা পারমিশন কেচগুলি আর শুনানী হবে না এবং
বিচারের পথ বন্ধ হয়ে যায়।তখন থেকেই জালিয়াত কারিরা আবারও জালিয়াতি কার্যক্রম শুরু করেন।গত ০৯/০৩/২০০৮ ইং তারিখে কোর্ট বদলির আবেদনে গত ১২/০৩.২০০৮ তারিখে কেচগুলির শুনানী না হইয়া বিচারক মুলতবী করেন।আবারও গত ১৯/১০/২০১১ অনত্র বিচারের জন্য বদলী হয় এবং গত১৯/১২/২০১১ তারিখে শুনানীর দিন ধার্য্য থাকে।পরবর্তীতে বিচারক জনাব কৃষ্ণ কমল দত্ত, সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার, মনিরামপুর, তারিখ- ১৮/০১/২০১২, স্মারক নং জোসেঅ/যশো/৬/৭৬/খন্ড-২৫/এস-২৫৯(৬) তিনিও কেচগুলো মুলতবী করেন।গত ০৯/০৩/২০০৮ ইং তারিখে কোর্ট বদলির আবেদন এবং ১২/০৩/২০০৮ তারিখে সকল আপত্তি কেচগুলি মুলতবী হওয়ার পরও কিভাবে, কি কারনে,কেন? ১৬/০৩/২০০৮ ইং তারিখে কেচের রায় বা আদেশ ব্যতি রেখেই সব জেনে বুঝেই সিভি বা কেচের নকল তোলার আবেদন করে রাখলেন কিভাবে। উল্লেখ্য ঃ এই জালিয়াতকারী ব্যাক্তিরায় অর্ধশতাধিক ভূয়া দলিল রেজিষ্ট্রি জালিয়াতি, ভূয়াপর্চা তৈরি, নামপত্তনের খারিজ খতিয়ান জালিয়াতি সহ রেকর্ড রুমের কাগজ নষ্ট,রেজিষ্ট্রি দলিলের ভোলিয়াম বই ছেড়া ও সেটেলম্যান্টের রেকর্ড
জালিয়াতি করা তাদের কাছে নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার।তাদের জমি জালিয়াতির ঘটনায় যশোর দুদকের উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।যাহার মামলা নং ০৬/২৬০ তারিখ ১০/১১/২০১৪ দুনীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা মতে। যশোর দুদকের উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ,জালিয়াতি মামলা থেকে প্রকৃত অপরাধী জমি জালিয়াতির সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে যারা জড়িত সেই ব-কলমে স্বনাক্তকারী,নকল দাতা,স্বাক্ষী,জালিয়াতকারী মৌরি এবং জমি গৃহিতাকে বাদ দিয়ে ব্যাপক অর্থ-বানিজ্যের মাধ্যমে মামলা থেকে বাদ দেন। এই জালিয়াত কারীরায় নামজারি ব্যতি রেখে,নামজারি জালিয়াত করে,এসএ,সিএস,আরএস,এবং খাজনা দাখিলা জাল করে ব্যাপক অর্থের বিনিময়ে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসার,দলিল লেখক,মৌরি ও জালিয়াতকারি দাতা যেসব দলিল জালিয়াতি করে রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন করেছেন সেগুলি হচ্ছে জালিয়াতী দলিল নং ৫৬৮৬/০৯, তারিখ ২১/ ১২/০৯, ৫৬৮৫/০৯, তারিখ- ২১/১২/০৯ জালিয়াতী নাম পত্তন নং- ৫৮৯/১-১/০৯-১০ তারিখঃ ২৮/০৭/০৯ ইং।আরো জালিয়াতী দলিল নং- ৬৩০৫/১১, রেজিঃ তাং- ২৬/১২/১১ ইং জালিয়াতী নাম পত্তন নং-৪০/১ -১১/৮৯-৯০ জালিয়াতী হাল খতিয়ান বুজরাত নং১০৬০, ডিপি খতিয়ান নং ২৭।দলিল নং-২০৭১/১৪,রেজিষ্ট্রি তারিখ ২৮/০৪/২০১৪,দলিল নং ১৭৫০/১০ রেজিষ্ট্রি তারিখ ২৩/০৩/২০১০,দুনীতি দমন কমিশন,প্রধান কার্যালয় ঢাকার স্বারক সংখ্যা ৪৪-০১২ ঝিনাইদহ ২৪৪৭৮নং তারিখে ১৭/০৯/২০১২ খ্রিঃ।
জালিয়াতি এসব কাজের প্রধান সহযোগী হিসাবে কাজ করেন শৈলকুপার সেটেলমেন্ট অফিসের ভূয়া ব্যারিষ্টার মৌরি বলে খ্যাত মোঃ আবতাব হোসেন।
ভূয়া মৌরি আবতাব হোসেনের সহযোগিতায় ভূমিদস্যুতার সকল পর্যায়ের কাজ করে থাকেন সেটেলমেন্টের ঘুষখোর এসব কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। ভূয়া মৌরি
আবতাবের সেটেলমেন্টের সকল পর্যায়ের অফিসের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারিদের সাথে রেেয়ছে নিবিড় সম্পর্ক। টাকার বিনিমযে অসাধ্য কাজও তিনি সাধ্য
করতে পারেন।বিভিন্ন ভূমি অফিসের ঘুষখোর অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারিদের ম্যানেজ করেই দিনের পর দিন শৈলকুপা, ঝিনাইদহ, যশোর জোনাল অফিসের সকল ভূয়া ও জালিয়াতি কাজ সে করে থাকে। ভূক্তভুগীরা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও এখন পযর্ন্ত কোন প্রতিকার পায়নি। ফলে দিন দিন তারা ব্যাপক হয়রানির শিকার হচ্ছে। জালিয়াতকারিরা দিনের পর দিন সাধারণ মানুষকে জিম্মী করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে কালোটাকার পাহাড় গড়ে তুলছে। এমতাবস্থায় জনস্বার্থে ভুক্তভুগী মহল জালিয়াতী চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসন সহ দুদক চেয়ারম্যান মহোদ্বয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এবং ভূক্তভুগি গন প্রকৃত জালিয়াতকারিদের বিরুদ্ধে আইনগত শাস্তির দাবি জানান।