শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Daily Pokkhokal
বুধবার, ৩০ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | রাজনীতি » শাহবাগে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে নার্সদের সরাল পুলিশ
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | রাজনীতি » শাহবাগে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে নার্সদের সরাল পুলিশ
২৩৪ বার পঠিত
বুধবার, ৩০ মার্চ ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

শাহবাগে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে নার্সদের সরাল পুলিশ

--- প্রতিবেদক : পুলিশ শাহবাগে সাউন্ড গ্রেনেড, পেপার স্প্রে, জলকামান ও লাঠিপেটা করে সরিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারী নার্সদের।বুধবার  দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশের রায়ট কার থেকে তিনটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। জলকামান দিয়ে গরম পানি ও পেপার স্প্রে ছোড়া হয় বিক্ষোভকারীদের ওপর। এরপর বিক্ষোভকারী নার্স এবং পুলিশের মধ্যে ধস্তাধস্তি, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারী নার্সরা রাস্তায় শুয়ে পড়েন। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে জাদুঘরের সামনে নিয়ে যায়। এ সময় কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।

পরীক্ষা পদ্ধতির বদলে মেধা, যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নার্স নিয়োগের দাবিতে শাহবাগ মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন বাংলাদেশ ডিপ্লোমা বেকার নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিডিবিএনএ) ও বাংলাদেশ বেসিক গ্র্যাজুয়েট নার্সেস সোসাইটির (বিজিএনএস) সদস্যরা। বেলা পৌনে ১১টায় তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। এরপর দুপুর ১টার দিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই স্থান থেকে সরে যাওয়ার জন্য তাদের ১৫ মিনিটের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ডিপ্লোমা বেকার নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ফারুখ হোসেন জানান, গত ২৮ মার্চ বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন তাদের দাবির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ৩ হাজার ৬১৬ সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল ও পূর্বের মতো জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নার্স নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

বিক্ষোভের ফলে শাহবাগে সব কটি রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কর্মব্যস্ত দিনে সড়ক অবরোধে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে বিপাকে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। বিক্ষোভকারীদের সরানোর পর আবার যান চলাচল শুরু হয়।

রমনা বিভাগে উপকমিশনার আবদুল বাতেন নার্সদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাড়ে তিন ঘণ্টা যাবৎ রাস্তা বন্ধ করে তারা বিক্ষোভ করছিল। এখানে বারডেম হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থাকায় রাস্তাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ রাস্তা বন্ধ থাকায় পুরো ঢাকার শহরে যান চলাচল ব্যাহত হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে নার্সদের বারবার বোঝানো হয়েছে যে, আপনারা রাস্তা ছেড়ে দিয়ে জাদুঘরের সামনে দিয়ে বিক্ষোভ করেন। জবাবে নার্সরা বলেছেন, দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাস্তা ছাড়ব না। শেষে বাধ্য হয়ে আমরা তাদেরকে সরিয়ে দিয়েছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নার্সদের সরিয়ে দিতে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাস শেল ব্যবহার করা হয়েছে। পেপার স্প্রে ব্যবহার করা হয়নি। সাতজনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন নারী, তিনজন পুরুষ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।’



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)