শনিবার, ২ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » » অটিজম নিয়ে গর্ব করার মতো সাফল্য এসেছে: সায়মা ওয়াজেদ হোসেন
অটিজম নিয়ে গর্ব করার মতো সাফল্য এসেছে: সায়মা ওয়াজেদ হোসেন
পক্ষকাল প্রতিনিধি: অটিজম নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে সচেতনতা ও পরিকল্পনায় গর্ব করার মতো সাফল্য এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ পরামর্শক প্যানেলের সদস্য ও বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির চেয়ারম্যান সায়মা ওয়াজেদ হোসেন ।
শনিবার ( ২ এপ্রিল) বিশ্ব অটিজম দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘের ” অটিজম মোকাবেলা : এসডিজির আলোকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কৌশল ” শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে উন্নয়ন প্রতিবন্ধিতা মোকাবিলায় ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। তবে সামনে আরো অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জনে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে আরো আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে।” নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ‘অটিজম মোকাবিলা এসডিজির আলোকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কৌশল’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন সায়মা ওয়াজেদ।
বাংলাদেশ, কাতার, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত এবং অটিজম স্পিকস-এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তব্য দেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের পত্নী বান সুন তায়েক, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্টের পক্ষে কাজাখস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি খায়রাত আবদরা খমানব, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন, ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবর উদ্দিন, কাতারের স্থায়ী প্রতিনিধি আলিয়া বিনতে আহমেদ আল থানি, দক্ষিণ কোরিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি ওহ জুন, অটিজম স্পিকস-এর কো-ফাউন্ডার সুজানে রাইট প্রমুখ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) বিশেষজ্ঞ পরামর্শক প্যানেলের সদস্য ও বাংলাদেশের অটিজমবিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ বলেন, “অটিজমসহ অন্যান্য উন্নয়ন প্রতিবন্ধিতা মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী ধীরে ধীরে সচেতনতা গড়ে উঠছে। জাতীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিকভাবে এ ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে উন্নয়ন প্রতিবন্ধিতা মোকাবিলায় ব্যাপক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হচ্ছে জানিয়ে সায়মা বলেন, “আমরা জাতীয়ভাবে যে কাজ করছি, এর বাইরে আঞ্চলিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় এবং আন্তর্জাতিক পরিসরেও সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করছি। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন সময় ঢাকায় বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়েছে। ২০১১ সালে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনও হয়েছে।”
সায়মা বলেন, “এ ধরনের সভা-সেমিনারের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তত্ত্বাবধানে অটিজম নিয়ে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হচ্ছে। এর মধ্যে প্রতিটি বিদ্যালয়ে অন্তত দুজন করে অটিস্টিক বা প্রতিবন্ধী শিশুকে পড়তে দেওয়ার সুযোগ রাখা বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি উল্লেখযোগ্য।” তিনি বলেন, “আমাদের দেশের বর্তমান সরকারের প্রত্যেকটি উন্নয়নসংশ্লিষ্ট বিভাগ অটিজম বা প্রতিবন্ধিতার ব্যাপারগুলো দেখাশোনা করছে। তারা তাদের কাজ করছে কিনা সে যোগাযোগও রাখা হচ্ছে।” অটিজমসহ অন্য উন্নয়ন প্রতিবন্ধিতা মোকাবিলায় সরকারের এ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় (২০১৬-২০২১) আরো বেশ কিছু উদ্যোগ থাকছে বলেও উল্লেখ করেন সায়মা।