শনিবার, ২ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ | বিশ্ব সংবাদ | ব্যাংক-বীমা | ব্রেকিং নিউজ » অর্থ ফেরত আনতে ফিলিপাইন যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা
অর্থ ফেরত আনতে ফিলিপাইন যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা
পক্ষকাল প্রতিবেদক: চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত পেতে বাংলাদেশের তদন্তকারী দল ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিরা ফিলিপাইনে যাচ্ছেন । ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংক সেন্ট্রাল এনজি ফিলিপিনাসের (বিএসএফ) কর্মকর্তাদের সঙ্গে কার্যক্রমের সমন্বয় করবেন তাঁরা।ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব) জন গোমসের বরাত দিয়ে ম্যানিলাভিত্তিক সংবাদপত্র বিজনেস ওয়ার্ল্ডের অনলাইনে শুক্রবারের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।
জন গোমস জানিয়েছেন, বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা আগামীকাল রোববারের মধ্যে ম্যানিলা পৌঁছবেন। সেখানে তারা চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারের ব্যাপারে বিএসএফের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকালে আইনজীবীর মাধ্যমে ফিলিপাইনের অর্থপাচার দমন কাউন্সিল (এএমএলসি) ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধির কাছে ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ফেরত দেন অভিযুক্ত ব্যবসায়ী কিম ওং। ম্যানিলায় বিএসএফের কার্যালয় থেকে ওই আইনজীবীর কাছ থেকে ১০০ ডলারের নোট ভর্তি একটি ব্রিফকেস গ্রহণ করেন বাংলাদেশ দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি ও চ্যানন্সেরি প্রধান প্রবাশ ল্যামারোং ও এএমএলসির নির্বাহী পরিচালক জুলিয়া বাচায়-আবাদ।
গত মঙ্গলবার ফিলিপাইনের সিনেটের শুনানি চলাকালে এই অর্থ ফেরতের দেওয়া অঙ্গীকার করেছিলেন কিম ওং। তিনি ফিলিপাইনের অর্থ বিনিময়কারী প্রতিষ্ঠান ফিলরেম সার্ভিস করপোরেশনের মাধ্যমে সোলেয়ার রিসোর্ট অ্যান্ড ক্যাসিনোর জুয়াড়িদের জন্য এই অর্থ পাঠিয়েছিলেন বলে শুনানিতে উল্লেখ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে সঞ্চিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার গত ৫ ফেব্রুয়ারি চুরি হয়। এর মধ্যে আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় প্রবেশ করে। আর দুই কোটি ডলার শ্রীলঙ্কার শালিকা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাবে যাওয়ার কথা ছিল। তবে প্রতিষ্ঠানটির নামের বানান ভুল হওয়ায় ওই অর্থ ছাড়ের আগে ধরা পড়ে।
ফিলিপাইনের অর্থ ছাড় হয় রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের মাকাতি নগরের জুপিটার স্ট্রিট শাখার ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতোর হাত দিয়ে। এই ঘটনায় ফিলিপাইনের সিনেটে কিম ওং ও দেগুইতোর শুনানি চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করে আরো দুই চীনা ব্যবসায়ীর নাম শুনানিকালে উল্লেখ করেছেন কিম।কিমের কাছ থেকে অর্থ ফেরত পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ম্যানিলায় জন গোমস সংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা আসছেন। ফেরত পাওয়া অর্থ কীভাবে দেশে নেওয়া যায় সে বিষয়ে ওই কর্মকর্তা এএমএলসির জুলিয়ার সাথে সমন্বয় করবেন।’৫ এপ্রিল ফিলিপাইনের সিনেটের চতুর্থ শুনানিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন বলে গোমস জানান।বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ যথাযথভাবে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানান এএমএলসির জুলিয়া। তিনি বলেন, যখনই বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলেও অর্থ ফেরত পাঠানো হবে।
৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার চুরির অর্থ উদ্ধার কাজে ফিলিপাইনের বিএসএফের সঙ্গে সমন্বয় করতে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডির কর্মকর্তারাও ম্যানিলা যাবেন বলে গোমস জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রিজার্ভের অর্থ কীভাবে ফিলিপাইনে প্রবেশ করল এবং কে কে এর সঙ্গে যুক্ত সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টা করবেন তারা (সিআইডি)।’
২১বিডি২৪ডটকম/ আরএইচ