উচ্চ মাধ্যমিকে বসেছে ১২ লাখ শিক্ষার্থী
ডেস্কঃ দেশের দুই হাজার ৪৫২টি কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা, যাতে অংশ নিচ্ছেন ১২ লাখের বেশি শিক্ষার্থী।রোববার সকাল ১০টায় এইচএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথম পত্র, বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথম পত্র এবং বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র (ডিআইবিএস) বিষয়ের পরীক্ষা শুরু হয়।আর মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে প্রথম দিন আলিমে কুরআন মাজিদ এবং এইচএসসি ভোকেশনালে বাংলা-২ [সৃজনশীল (নতুন/পুরাতস সিলেবাস)] (১১২১) ও বাংলা-১ [সৃজনশীল (নতুন/পুরাতন সিলেবাস)] (১১১১), কারিগরি বোর্ডের অধীনে ডিপ্লোমা ইন কমার্সে বাংলা-২ ও বাংলা-১ (সৃজনশীল) এবং ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায় বাংলা-২ (নতুন সিলেবাস) ও বাংলা-১ (সৃজনশীল, নতুন সিলেবাস) বিষয়ের পরীক্ষায় বসেছেন শিক্ষার্থীরা।৯ জুন তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষে ১১ থেকে ২০ জুনের মধ্যে হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।এবার আট হাজার ৫৩৩টি প্রতিষ্ঠানের ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।গত বছর এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৪ জন শিক্ষার্থী। এ হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে এক লাখ ৪৪ হাজার ৭৪৪ জন।
এসএসসির মত এইচএসসিতেও এবার থেকে প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) অংশের পরীক্ষা হচ্ছে।
এই দুই অংশের পরীক্ষার মধ্যে ১০ মিনিট সময় রাখা হয়েছে। সকাল ১০টায় বহুনির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হবে। আর ১০টা ৫০ মিনিটে শুরু হবে সৃজনশীল অংশের পরীক্ষা।
তবে ট্র্যাডিশনাল বিষয়ের ক্ষেত্রে রচনামূলক পরীক্ষা ১০টায় শুরু হবে। বিকালের পরীক্ষার ক্ষেত্রে একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।
এবার এইচএসসিতে আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে ১০ লাখ ২০ হাজার ১০৯ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ৯১ হাজার ৫৯১ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বিএম-এ ১ লাখ ২ হাজার ১৩২ জন এবং ডিআইবিএসে চার হাজার ৭৯৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবার পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৬ লাখ ৫৪ হাজার ১১৪ জন ছাত্র এবং ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৫১৪ জন ছাত্রী।
ঢাকার বাইরে এবার বিদেশের সাতটি কেন্দ্রে ২৬২ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন, এর মধ্যে ১২৪ জন ছাত্র এবং ১৩৮ জন ছাত্রী।
এ বছর ১৯টি বিষয়ের ৩৬টি পত্রের পরীক্ষা সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে।
এইচএসসিতে ২০১২ সালে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হয়। গত বছর ১৩টি বিষয়ের ২৫টি পত্রের পরীক্ষা সৃজনশীল পদ্ধতিতে হয়েছিল।
এবারো দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবেন। এ ধরনের পরীক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবেন।
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (অটিস্টিক এবং ডাউন সিনড্রোম বা সেরিব্রালপালস আক্রান্ত) পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে। এ ধরনের শিক্ষার্থীরা অভিভাবক, শিক্ষক বা সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে সচিবালয়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র খুলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।যে কোনো প্রয়োজনে এই নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের সঙ্গে ৯৫৪০৩০২, ৯৫৭৬৭৮০, ০১৭৭৭-৭০৭৭০৫ এবং ০১৭৭৭-৭০৭৭০৬ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।