রাষ্ট্রয়াত্ত্ব ৭ পাটকলে ধর্মঘট চলছে
জেলা প্রতিনিধি: বকেয়া বেতন প্রদানসহ ৫ দফা দাবিতে খুলনার রাষ্ট্রয়াত্ত্ব ৭টি পাটকল শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে। এতে বন্ধ রয়েছে কারখানার উৎপাদন।সোমবার ভোর ৬টা থেকে লাগাতার ধর্মঘট শুরু হয়। একই সঙ্গে দাবি আদায় না হলে মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজপথ-রেলপথ অবরোধের ঘোষণাও দিয়েছে শ্রমিকরা।এরআগে রোববার খালিশপুর, আটরা ও নওয়াপাড়া শিল্প এলাকায় মিল স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে একঘণ্টা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব জুট মিল সিবিএ-নন সিবিএ ঐক্য পরিষদ। ওই মানববন্ধন থেকে আন্দোলনের কর্মসূচী সফল করার জন্য শ্রমিকদের প্রতি আহবান জানান শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
পাট শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে অবিলম্বে মিলগুলোকে পূর্ণাঙ্গ উৎপাদনমুখী করার জন্য পাটখাতে প্রয়োজনীয় অর্থ ছাড়, পে-কমিশনের ন্যায় অবিলম্বে রাষ্ট্রায়ত্ব শিল্পে শ্রমিকদের জন্য মজুরী কমিশন বোর্ড গঠন, ১ জুলাই ২০১৩ ঘোষিত ২০% মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান, খালিশপুর ও দৌলতপুর জুট মিল জাতীয়করণ এবং কর্নফুলী জুট মিলের শ্রমিকদের স্থায়ীকরণসহ পাওনা পরিশোধের দাবিতে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব জুট মিল সিবিএ-নন সিবিএ ঐক্য পরিষদ ২১ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে।
এই কর্মসূচির ৩য় দিনে রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় খালিশপুরের প্লাটিনাম, ক্রিসেন্ট, দিঘলিয়ার স্টার, আটরা শিল্প এলাকার আলিম, ইস্টার্ণ, নওয়াপাড়া শিল্প এলাকার জেজেআই ও কার্পেটিং জুট মিল স্কুলের শিক্ষার্থীরা ক্লাশ বর্জন করে স্ব-স্ব মিল গেটের সামনে সমবেত হয়।
এসময় শ্রমিকদের সঙ্গে মিছিল করে রাজপথে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেয় শিক্ষার্থীরাও। খালিশপুরে বি আইডিসি রোড, দিঘলিয়ার ষ্টার জুট মিল গেটের সামনে, আটরা ও নওয়াপড়া শিল্প এলাকার খুলনা-যশোর মহাসড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে পৃথক পৃথক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত পাট মৌসুমে অর্থ বরাদ্ধ না দেয়ায় পাটকলের প্রায় ৮৫ হাজার শ্রমজীবি মানুষকে অর্ধহারে -অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। ২০১০-১১ ও ২০১১-১২ অর্থ বছরে রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলের শ্রমিকরা অল্প খরচে উৎপাদন লক্ষমাত্রা পূরণে সক্ষম হয়েছে। যে কারণে তখন বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন লাভজনক স্থানে পৌঁছায়।
অবিলম্বে শ্রমিক-কর্মচারিদের সব পাওনা পরিশোধের জন্য বিজেএমসি কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর আহবান জানান বক্তারা।