সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » » ‘সময় বেঁধে দেয়াটা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতার প্রমাণ’
‘সময় বেঁধে দেয়াটা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতার প্রমাণ’
বিবিসি
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে বর্ষবরণের প্রস্তুতিবাংলাদেশে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান বিকাল পাঁচটার মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।এদিকে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের আয়োজক সংগঠনগুলো বলছে নিরাপত্তা না দিয়ে সময় বেঁধে দেয়াটা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতাই প্রমাণ করে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের জানান পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষের দিনে প্রকাশ্য স্থানে সব ধরনের অনুষ্ঠান বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে।একই সাথে উচ্চ শব্দের বাঁশি যেটা ‘ভুভুজেলা’ নামে পরিচিত সেটার বাজানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন এবং মুখোশ দিয়ে মুখ ঢাকাও নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানান তিনি।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সবাই যাতে নির্বিঘ্নে পহেলা বৈশাখ পালন করতে পারে সেজন্যেই এসব ব্যবস্থা নেয়া হবে”।সংগঠনগুলোর আয়োজন শুরু হয় ভোরের সূর্যোদয় থেকে, আর তা চলে দিনব্যাপী, শেষ হয় রাতে।ঢাকার বাইরে যশোরের উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ৪০ বছর ধরে পহেলা বৈশাখ উদযাপনে দিনব্যাপী নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে।
সংগঠনটির জেলা সংসদের সভাপতি শাহিদুজ্জামান বিবিসিকে বলছিলেন সরকারের এই সিদ্ধান্তকে তারা তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
Image caption বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলছে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে। (ফাইল ছবি)
বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে সরকার বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা বেশ কয়েক বছর ধরে বলে আসছে।
এর মধ্যেই গত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় যৌন হয়রানির ঘটনা জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করে।
উদীচীর সভাপতি মি: জামান বলছিলেন “অনুষ্ঠান উদযাপনে নিরাপত্তা না দিয়ে সময় বেঁধে দেয়াটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতাই প্রমাণ করে”।
এর আগে ২০০১ সাথে ঢাকার রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়নটের বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলার সময় মঞ্চের কাছেই বোমা বিস্ফোরণ ঘটে।
এই ঘটনায় কমপক্ষে দশ জন নিহত এবং আরো অনেকে আহত হন।
ঢাকায় বর্ষবরণের মূল অনুষ্ঠানের আয়োজক ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আনাম শাকিল বলছিলেন সরকার নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে পারেন, তবে সময় কয়েক ঘন্টা না বাড়ালে সাধারণ মানুষ কতটা মানবে সেটা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের দশদিন বাকি থাকলেও আয়োজক সংগঠনগুলো আরো আগে থেকেই নিচ্ছে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি, সাধারণ মানুষের মধ্যে্ও রয়েছে আগ্রহ।
তবে গত বছরের বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে যৌন হয়রানির ঘটনার কোন সুরাহা না হওয়ায় নিরাপত্তার বিষয়টি অনেকের মনেই প্রশ্ন তুলছে।