প্রধান বিচারপতির বিচার করা হবে
পক্ষকাল প্রতিবেদক :
প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনকে উদ্দেশ্য করে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেছেন, ‘গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর কিভাবে বহিরাগতরা সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশ করে আইনজীবীদের উপর হামলা করল। ‘এই ঘটনার জন্য আপনাকে চরম মূল্য দিতে হবে। প্রধান বিচারপতিকে বিবেক বিবর্জিত মানুষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের পতন হওয়ার পর আপনি অবসর গ্রহণ করলেও এ ঘটনার জন্য আপনার বিচার করা হবে।’
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ও সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির আয়োজনে সোমবার দুপুর ১টার দিকে হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সমাবেশে তিনি এ সব কথা বলেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, ‘এ সরকার পুলিশের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে আছে। তারা চায় এ দেশে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগরা রাজনীতি করবে। কিন্তু জনগণ তা হতে দেবে না। বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থান করে সরকারের পতন করা হবে।’
আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘সরকার পতনের জন্য বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।’
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বরে মার্চ ফর ডেমোক্রেসিতে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গণে বহিরাগতরা প্রবেশ করে আইনজীবীদের উপর হামলা ও মারধর করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে আইনজীবীরা সোমবার কালো পতাকা উত্তোলন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।
একই সঙ্গে হরতালের সমর্থনেও বিক্ষোভ মিছিল করে আইনজীবীরা।
২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতালের সমর্থনে সুপ্রীম কোর্টে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা। এরআগে সকালে আইনজীবীদের উপর বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এরপর এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আইনজীবীদের উপর হামলার প্রতিবাদে আজকের দিনটিকে আমরা কালো দিবস হিসেবে ঘোষণা করছি।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘এক মুহুর্তের জন্যও অনির্বাচিত হাসিনা সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই।’
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ দাবি করে তিনি বলেন, ‘পদত্যাগ না করলে বাংলার মানুষ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদেরকে জোর করে নামাবে।’
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সাইফুর রহমান, কামাল উদ্দিন, রুহুল কুদ্দুস কাজল, মো. মনিরুজ্জামান, আবেদ রাজা বক্তব্য রাখেন।