কেমন আছে তাজ উদ্দিনের কাপাসিয়া
কাপাসিয়া থেকে এসএম লবিব
স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী ও বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহাম্মেদের কাপাসিয়া উপজেলাবাসীর ভাগ্যের চাকা আজো ঘুরেনি। এখনো অন্ধকারে বসবাস করছে, যেন দেখার কেউ নেই। গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলাটির আয়তন ৩৫৬ দশিমক ৯৪ বর্গকিলোমিটার মোট জনসংখ্যা ৩ লাখ ২১ হাজার ৪৫৬ জন এতে মুসলমান ৩ লাখ ৩ হাজার ২৯৬ জন, হিন্দু ১৭ হাজার ৮২৬ জন অন্যান্য ৩৩২ জন।
উপজেলার চার পাশে রয়েছে শীতলক্ষ্যা, ব্রহ্মপুত্র, বানার বুড়িবিল, নিল বিল বানারবিল এবং সুতিখাল ইত্যাদী।
কাপাসিয়া উপজেলা ১১টি ইউনিয়ন মৌজা ১৬৬, গ্রামের সংখ্যা ২৩০টি।
ইউনিয়নের শিক্ষারহার যথাক্রমে কড়িহাতা ৫১.৯৮ কাপাসিয়া ৫৯.৭৯ ঘাগটিয়া ৫১.২৮ চাদপুর ৫২.৯৬ টোক ৪৪.০২ তরগাঁ ৬০.৫৮ দুর্ঘাপুর ৭৬.১৭ বারিষাব ৪৭.৭২ রায়েদ ৫৮.৫০ সন্মানিয়া ৬১.৪০ সিংহশ্রী ৫৩.৪৯
স্বাধীনতার স্মাক্ষর বহনকারী এই উপজেলাটি বাংলাদেশের রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র থেকে খুব দৃরে নয়। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত কত রাজনৈতিক নেতার পালাবদল হল কিন্তু বদল হলো না কাপাসিয়ার হাল। এই অঞ্চলের সমস্যাগুলোর প্রধান সমস্যা হল বিদ্যুৎ যা এই অঞ্জলের মানুষের প্রানের দাবী হিসাবে করে আসছে বহু দিন থেকে কিন্তু তা আর বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি আজো পর্যন্ত এবং এটি নিশ্চিত করে বলা যায় না কবে নাগাত এর সমস্যা সমাধানের মুখ দেখবে। তায় আজ এ বিষয়টি এ অঞ্চলের মানুষের প্রানের দাবী হয়ে উঠছে ।
কাপাসিয়া উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে এখনো অনেক গ্রাম রয়েছে যেখানে বিদ্যুৎকে সপ্তার্চা বিষয় মনে করা হয়, এই সকল এলাকার বৃদ্ধ মানুষেরা মনে করেন তাদের প্রয়োজন বা তাদের উন্নয়ন কোন সরকার প্রয়োজন মনে করেনি তাই তাদের এমতাবস্তা।
কাপাসিয়া উপজেলার মধ্যে টোক ইউনিয়ন একটি অন্যতম ইউনিয়ন, এখানে ২৪ গ্রামের মধ্যে বিদ্যুৎ আছে মাত্র তিনটি গ্রামে বাকী গ্রামগুলো আজো আছে অজপাড়া হিসাবে বিবেচিত হয়। টোক ইউনিয়নের বাসিন্দা রাজিব হায়দার রাজশাহী ইউনির্ভাসিটির হিসাব বিজ্ঞানের মার্ষ্টাসের ছাত্র তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস হয়না যে আজো আমরা বিদ্যুতের বাহিরে আছি, কিন্তু আমি যখন বাড়িতে আসি এবং মোবাইল, ল্যাপটপ চার্জ দেওয়ার জন্য বাজারে আসি তখন বিষয়টি আমাকে কষ্ট দেয়।
কাপাসিয়া উপজেলার প্রতিটি উইনিয়নে যোগাযোগ করা হলে তারা যে তথ্য দেয়, তা হল উপজেলার প্রতিটি উইনিয়নে ১৭ থেকে ১৮টি গ্রাম আছে এদের মধ্যে মাত্র ৪/৫টি গ্রামে বিদ্যুৎ আছে আর বাকীগুলোর মধ্যে অন্ধকার।
বাংলাদেশের খুবকম পারাগাঁ আছে যেখানে আজো হারিকেনের ব্যবহার হয়। কিন্তু তাজউদ্দিনের কাপাসিয়ায় এখনো ঐতিহ্যের হারিকেনের ব্যবহার আছে এবং সরেজমিনে দেখা যায় এখনো বহু পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা হারিকেনের আলোতে পড়াশুনা করে। কাপাসিয়ার রাজনৈতিক পটভ’মির পরির্বতন হয়। কিন্তু এ বিষয়টির ব্যাপারে কারো কোন উদ্যোগ দেখা যাইনি।
কাপাসিয়ায় বিদ্যুৎতের এ সমস্যা নিয়ে কথা হয়, কাপাসিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান আলহাজ খন্দকার আজিজুর রহমান (পেরা)’র সাথে তিনি বলেন এ বিষয়টি জাতীয় পর্যায়ের সরকার এ ব্যাপারে বাজেট পেশ করলে আমি যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ নেই তাদেরকে বিদ্যুৎতের আওতায় নিয়ে আসব।