আইপিএল অভিষেকে উজ্জ্বল মুস্তাফিজ
ডেস্ক,
আইপিএল অভিষেকেই নিজের জাত চেনালেন মুস্তাফিজুর রহমান। বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং স্বর্গে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর রান বন্যার মাঝেও মুস্তাফিজ ছিলেন দুর্বোধ্য। দারুণ বোলিংয়ে নিয়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স ও শেন ওয়াটসনের উইকেট।
তবে ৪৫ রানে হেরেছে মুস্তাফিজের দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। বিরাট কোহলি ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের দুর্দান্ত দুটি ইনিংস ও শেষ দিকে সরফরাজ খানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২২৭ রান তোলে বেঙ্গালুরু। ৬ উইকেট হারিয়ে হায়দরাবাদ তুলতে পারে ১৮২ রান।
মুস্তাফিজ প্রথম বল পেয়েছিলেন তৃতীয় ওভারে। কোহলি ও ডি ভিলিয়ার্সকে বোলিং করে মুস্তাফিজকে দেন মাত্র ৪ রান। পাওয়ার প্লেতে আরও এক ওভার করে দেন ৬ রান।
সানরাইজার্স অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার আবার মুস্তাফিজকে বোলিংয়ে আনেন ১৮তম ওভারে। মাঝের সময়টায় তাণ্ডব চালান কোহলি ও ডি ভিলিয়ার্স। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে গড়েন ৮৭ বলে ১৫৭ রানের জুটি!
বেঙ্গালুরুর বিস্ফোরক ওপেনার ক্রিস গেইলকে (১) ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ফেরান ভুবনেশ্বর কুমার। কিন্তু কোহলি ও ডি ভিলিয়ার্সের পাল্টা আক্রমণে দিশাহারা হয়ে যায় সানরাইজার্সের বোলিং। এই সময়টায় আক্রমণে ছিলেন না মুস্তাফিজ, বেঙ্গালুরুর কোনো বোলারকেই রেহাই দেননি সময়ের সেরা দুই ব্যাটসম্যান। মাত্র ২.১ ওভার বোলিং করেই চোট নিয়ে আশিস নেহরার মাঠ ছাড়াও ভুগিয়েছে সানরাইজার্সকে।
শেষ পর্যন্ত দারুণ এক ইয়র্কারে কোহলিকে (৫১ বলে ৭৫) ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন ভুবনেশ্বর। পরের ওভারেই কর্ন শর্মাকে টানা তিনটি ছক্কা মারেন শেন ওয়াটসন।
মুস্তাফিজ আক্রমণে ফিরে দারুণ এক কাটারে আউট করেন ডি ভিলিয়ার্সকে (৪২ বলে ৮২)। তার পরের বলে কট বিহাইন্ড ওয়াটসন (৮ বলে ১৯)।
কিন্তু ভুবনেশ্বরের পরের ওভারেই ঝড় তোলেন বাংলাদেশে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলে যাওয়া সরফরাজ খান। এক ওভারেই আসে ২৮ রান! মুস্তাফিজের করা ইনিংসের শেষ ওভারেও সরফরাজ মারেন একটি ছক্কা ও চার। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত তিনি ১০ বলে ৩৫ রান করে।
সানরাইজার্সের সবচেয়ে অভিজ্ঞ বোলার নেহরা রান দিয়েছেন ওভারপ্রতি প্রায় ১০ করে। বাকিরা দশের বেশি। মুস্তাফিজ সেখানে ৪ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে পেয়েছেন ২ উইকেট!
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু করেছিলেন অধিনায়ক ওয়ার্নার। ২৫ বলে ৫৮ রান করে অস্ট্রেলিয়ার এই মারকুটে ব্যাটম্যান আউট হওয়ার পর অন্য কেউ আর দাঁড়াতে পারেননি।