বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি | সম্পাদক বলছি » প্রধান ও তানসেেনর এমপি পদ নিয়ে জটিলতা
প্রধান ও তানসেেনর এমপি পদ নিয়ে জটিলতা
পক্ষকাল প্রতিবেদকঃ বুধবার নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ গণমাধ্যমকে জানান, ‘মশাল প্রতীক নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইনুর নেতৃত্বাধীন অংশই পাচ্ছে এই প্রতীক। আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত রোববারের মধ্যে জানিয়ে দেয়া হবে।‘ মশাল হাসানুল হক ইনু ও শিরীন আখতার নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদকেই প্রতীকটি বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রতীক চেয়ে জাসদের দুই অংশের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্তের ফলে শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধানের নেতৃত্বাধীন জাসদকে আলাদাভাবে নিবন্ধন এবং প্রতীক নিতে হবে।
এর আগে গত বুধবার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের নির্বাচনী প্রতীক মশাল পাওয়ার দাবি করা দুই পক্ষের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।সিইসির সভাপতিত্বে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আবদুল মোবারক, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী, মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, ইসি সচিব মো. সিরাজূল ইসলাম, যুগ্ম সচিব আইন ড. শাজাহান।
শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে মো. শাহনেওয়াজ, জাবেদ আলী ও আবু হাফিজ মশাল প্রতীক ইনুকে দেওয়ার পক্ষে মত দেন।তবে সিনিয়র নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক এ নিয়ে জটিলতার আশঙ্কার কথা তুলে ধরেন।কারণ দশম সংসদে জাসদের যে ছয়জন এমপি রয়েছেন তাদের মধ্যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর পাশাপাশি শিরীন আখতার নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। মইন উদ্দিন খান বাদলও নৌকায় পার হন।
তবে নাজমুল হক প্রধান ও রেজাউল করিম তানসেন মশাল প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন। আর লুৎফা তাহের সংরক্ষিত আসনের এমপি হিসেবে রয়েছেন।
ইসির সিদ্ধান্তের ফলে মশাল প্রতীক নিয়ে সংসদে যাওয়া দুই সংসদ সদস্য বিদ্রোহী পক্ষের হওয়ায় তাদের এমপি পদ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করছেন সিনিয়র নির্বাচন কমিশনার মোবারক।
উল্লেখ্য, জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে দু‘ভাগ হয়ে যায় দলটি। সংসদ সদস্য শিরিন আখতারকে সাধারণ সম্পাদক করার বিরোধিতা করে ১২ মার্চ কাউন্সিলে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন জাসদ থেকে বেরিয়ে আলাদা কমিটি ঘোষণা করে দলটির একটি অংশ।
শরীফ নুরুল আম্বিয়াকে সভাপতি ও সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয় এই কমিটিতে। এই কমিটিতে কার্যকরী সভাপতি হয়েছেন সংসদ সদস্য মইন উদ্দীন খান বাদল।