তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা
ডেস্কঃ
তুর্কি প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগোলু পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। ক্ষমতাসীন একে পার্টির সম্মেলনের পর জুনে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন।
বিবিসি বলছে, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান দেশটিতে প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা করছেন।
কিন্তু এই পরিকল্পনা মেনে নেননি দাভুতোগোলু। আর এই মতবিরোধের কারণেই দাভুতোগোলুকে পদ ছাড়তে হচ্ছে।
বুধবার প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করেন দাভুতোগোলু। কিন্তু দুই নেতার মতপাথর্কে্যর সমাধান হয়নি। আর এরপর থেকেই তিনি পদত্যাগ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
কয়েক মাস ধরে তাদের মধ্যে অস্বাভাবিক সম্পর্ক চলছিল।
কিন্তু পদত্যাগের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে নিজের বক্তব্যে দাভুতোগোলু প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে বলেছেন, কারো প্রতি তার কোনো ক্ষোভ নেই।
দাভুতোগোলু জানিয়েছেন, তিনি দলীয় আইনপ্রণেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন এবং দলকে বিভক্ত করার চেষ্টা করবেন না।
২২ মে অনুষ্ঠিতব্য পার্টির সম্মেলনে তার উত্তরসূরি নির্বাচিত হবে।
বৃহস্পতিবার দিনের প্রথমভাগে প্রেসিডেন্টের সহযোগী সেমিল আর্তেম জানিয়েছেন, নতুন নেতা বেছে নেওয়ার জন্য কোনো নির্বাচন হবে না।
তুর্কি টেলিভিশনে তিনি আরো বলেন, “যখন একজন প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন তখন দেশ ও অর্থনীতি ভবিষ্যতে স্থিতিশীল হবে।”
দাভুতোগোলুকে একজন নমনীয় প্রধানমন্ত্রী বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের বিতর্কিত বেশকিছু নীতির ব্যাপারে দাভুতোগোলুর দ্বিমত ছিল। সম্প্রতি প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা আরো বাড়াতে সংবিধান পরিবর্তনের ব্যাপারে তিনি অসম্মতি জানান।
দাভুতোগোলুর পদত্যাগ তুরস্কে এরদোয়ানের নিয়ন্ত্রণ আরো বাড়বে। আরো বেশি অনুগত প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
তবে বিষয়টি অনেক পশ্চিমা নেতার দুঃখের কারণ হতে পারে যারা মনে করেন এরদোয়ানকে হ্যান্ডেল করা একটু কঠিন।
২০১৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এরদোয়ান জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলাপমেন্ট পার্টির (একে) প্রধানের দায়িত্ব অর্পন করেন।