রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কাছে ঢাকা মহানগর শাখা কার্যালয়ের সামনে দলটির সহযোগী সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন।নিহত বাবুল সরদার (৪৮) ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ধানমণ্ডি থানার শ্রমিক দলের সভাপতি ছিলেন।
রোববার বিকালে নয়া পল্টনে সংঘর্ষে বাবুল ছাড়াও আহত হয়েছিলেন ঢাকা মহানগর শ্রমিক দলের দপ্তর সম্পাদক আবু কাউসার ভূঁইয়া (৪৫)।
বিকালে শ্রমিক দলের কর্মীরা বাবুল ও কাউসারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়েছিল বলে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
তিনি বলেন, “তারা বলেছিল, ছাত্রদলের লোকজন তাদের উপর হামলা চালায়।”পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে বাবুলকে লালমাটিয়া সিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।নয়া পল্টনের বিএনপি কার্যালয়, এর কাছেই দলটির ঢাকা মহানগর কার্যালয়নয়া পল্টনের বিএনপি কার্যালয়, এর কাছেই দলটির ঢাকা মহানগর কার্যালয়
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা মোজাম্মেল বলেন, দুজনের মধ্যে বাবুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।
সিটি হাসপাতালে নেওয়ার পর রাতে বাবুলের মৃত্যু হয় বলে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার আনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
তিনি বলেন, মূলত শ্রমিক দলের দুই পক্ষে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। তখন ছাত্রদলের একটি অংশ এর একপক্ষ নেয়।
“বিএনপি অফিসের সামনের রাস্তায় শ্রমিক দলের সরদার গ্রুপ ও শহীদ গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। এসময় শহীদ গ্রুপকে ছাত্রদল সহযোগিতা করে।”
বিকালে নয়া পল্টনে বিএনপির ঢাকা মহানগর কার্যালয়ে শ্রমিক দলের আয়োজনে সাদেক হোসেন খোকার আরোগ্য কামনায় মিলাদ মাহফিল ছিল। তারপরই সংঘর্ষ বাঁধে।
শ্রমিক দলের ধানমণ্ডি শাখা কমিটি গঠনের বিরোধ থেকে বাবুল ও কাউসারের উপর হামলা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী বিএনপিকর্মীরা জানিয়েছেন।