বৃহস্পতিবার ‘আদালতে যাবেন’ খালেদা
ডেস্কঃ গ্রেপ্তার এড়াতে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের নির্ধারিত দিন আদালতে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগামীকাল বৃহস্পতিবার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি রয়েছে। ম্যাডাম আদালতে উপস্থিত থাকবেন।”
বৃহস্পতিবার খালেদা আদালতে না গেলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলে আগেই সতর্ক করে দিয়েছেন ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার।
ঢাকার বকশিবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেডে মাঠে এ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট ও জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট্র দুর্নীতি মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছে।
এ মামলায় খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থনের সর্বশেষ তারিখ ছিল ছিল গত ১৯ মে। কিন্তু অসুস্থতার কথা বলে তার আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করলে শুনানি পিছিয়ে যায়।
সেদিনই বিচারক জানিয়ে দেন, ২ জুন আদালতে অনুপস্থিত থাকলে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে।
এর আগে ৭, ১৭, ২৫ এপ্রিল ও ৫ মে চার দফা খালেদার সময়ের আবেদনে তার আত্মপক্ষ সমর্থন পিছিয়ে যায়।
গত বছরের শুরুর দিকে হরতাল-অবরোধ ডেকে টানা তিন মাস খালেদা নিজের কার্যালয়ে অবস্থান নিয়ে থাকার সময় আদালতে না যাওয়ায় একই বিচারক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই পরোয়ানা জারির একমাস দশ দিন পর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান খালেদা।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট তেজগাঁও থানায় খালেদার বিরুদ্ধে এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
খালেদা জিয়া ছাড়া এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চার জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছরের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।
এ মামলায় জামিনে থাকা জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান গত ৭ এপ্রিল আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দেন। আর হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
তদন্ত কর্মকর্তা ও বাদী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর রশিদসহ মোট ৩২ জন এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন।
একই আদালতে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুদক কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদের জেরা চলছে।