মাহমুদা’র ফোনটি গায়েব,
ডেস্ক: যে এসএমএস পেয়ে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু ছেলেকে স্কুলে দিতে ১৫ মিনিট আগে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন; সেই এসএমএস স্কুল থেকেই পাঠানো হয়নি বলে দাবি করেছে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ।
তবে এমন দাবির সত্যতা নিশ্চিত করতে গিয়ে নতুন বাধার মুখে পড়েছে পুলিশ। কারণ নিহত স্ত্রী মিতুর ফোনটিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বাবুল আক্তার ও মাহমুদা খানম দম্পতির ছেলে আক্তার মাহমুদ মাহির ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র।
সিটিজি নিউজ ডটকম জানিয়েছে, চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের জুনিয়র শাখার সমন্বয়ক ইয়াসমিনা হক জানিয়েছেন, ‘স্কুলের শিডিউল সংক্রান্ত কোন এসএমএম তারা অভিভাবকদের পাঠাননি, রোববারে স্কুলে প্রবেশের সময় ৭.২০ মিনিট এবং সাড়ে সাতটা থেকে স্কুলের কার্যক্রম শুরু হয়, এটা রোববারের পূর্ব নির্ধারিত শিডিউল’।Xr5u0VZ3BaCP
ইয়াসমিনা আরও জানান, “সাধারণত সকাল ৬টা ৫৫ মিনিট থেকে সাতটার মধ্যে স্কুলের গাড়ি জিইসি মোড় থেকে ছেড়ে আসে, আমি জামাল খান সড়ক থেকে সাতটায় স্কুলের গাড়িতে উঠি, সকালে রাস্তা ফাঁকা থাকে তাই ওইসব এলাকাতে স্কুলে পৌঁছতে ১৫-২০ মিনিটের বেশি লাগে না, সকাল সাড়ে ছয়টা কিংবা ৬.৪০ মিনিটে কোন গাড়ী থাকার কথা নয়।”
কিন্তু ঘটনার দিন প্রতিবেশিরা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, প্রতিদিন সাতটায় ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে জিইসির মোড়ে হাজির হতেন মিতু। তবে স্কুল থেকে শিডিউল এগিয়ে আনার এসএমএস পেয়ে ১৫ মিনিট আগে বাসা থেকে বের হন তিনি।
সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার জানিয়েছেন, ‘স্কুল থেকে এসএমএস আসার বিষযটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, কিন্তু মিতুর ফোনটি হারিয়ে যাওয়াতে কোনো এসএমএস এসেছে কিনা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
রোববার সকাল সাতটার দিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানমকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
প্রতিবেশীদের ভাষ্য অনুযায়ী অন্যান্য দিনের চেয়ে ১৫ মিনিট আগে চট্টগ্রামের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে নিয়ে বাসার সামনে স্কুলবাসের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। সেসময় মোটরসাইকেলে করে আসা সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা তাকে ঘিরে ফেলে। দুর্বৃত্তরা প্রথমে তাকে ছুরিকাঘাত এবং পরে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।