বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি | শিক্ষা ও ক্যারিয়ার » ইডেন কলেজের গল্প
ইডেন কলেজের গল্প
সাংবাদিকতা করতে হলে কত জায়গায় গিয়ে কত সব অবিশ্বাস্য ঘটনা শুনতে হয়-যা সত্যি- অবাক হলেও লেখা ছাড়া কি করতে পারি? গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইডেন করলজের ছাত্রী নেত্রীদের বিলাস বহুল ও অনৈতিক জীবনের গল্প শুনে চোখ চড়ক গাছ। এও কি সম্ভব? কয়েকজন ছাত্রী বলতে বলতে কাঁদছিলো। ইডেনে হলগুলো হচ্ছে- খোদেজা খাতুন, জেবুন্নেসা হোস্টেল, রাজিয়া বেগম ছাত্রী নিবাস’ হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রঃ) ছাত্রী নিবাস, হাসনা বেগম ছাত্রী নিবাস, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা হল বিএনপি বা আওয়ামী লীগ যে দলই ক্ষমতায় থাকুক এই কলেজ কমিটির নেত্রীদের জন্য থাকে বিশেষ সুবিধা । খোদেজা খাতুন হলের থাকেন এমন ২ জন ছাত্রী জানালেন, কলেজ কমিটির সহসভাপতি থাকেন,২০৬ নং কক্ষে। ২ বছর আগে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম,এ করলেও হল ছাড়ছেন না। বিয়ে হয়েছে ৭ মাস স্বামী প্রবাসী। তাই শ্বশুড়বাড়ী যাননা। তার দখলে রয়েছে হলগুলোর ৪ টি কক্ষ । ৪ বেডের এসব কক্ষে ১৩ থেকে ১৫ জনকে রাখা হয়। হলের ছাত্রী হিসাবে কলেজে গৃহীত নয়। টাকা দিয়ে থাকা। ভর্তির সময় এদর ১০ খথকে ১৫ হাজার টাকা দিতে হয়। তাতেই শেষ নয়। নেত্রীর যেসব কাজ তাদের করতে হয়- প্রতিদিন মশারি টাঙিয়ে ড়েয়া, খুলে বিছানায় ঝাড় দেয়া। বাজার করে দেয়া। মাছ মাংস ছাড়া আর কিছু কিনতে হয়না। ভেতরের কাঁচা মালের দোকানে সব কিছু নেত্রীর জন্য ফ্রি । তার তিন বেলা রান্না করে দেয়া। কারন হলের খাবার তার মুখে রোচে না। কার কি সমস্যা তাতে নেত্রীর কিছু যায় আসে না। যে কোন অবস্থায় তার আদেশ তালিম করতে হবে, নতুবা হল থেকে বিদায়। রাশনা নামে ।কে ছাত্রী জানালো,আমার ভীষন জ্বর, এর মধ্য আপু আমাকে ডেকে এক বালতি জামা কাপড় ধরিয়ে দিয়ে বললো, এগুলো দ্রুত কেচে দে। আমার কোন কথা বলার সুয়োগ দিলো না, অন্তরা জানালো তিনি ১২ হাজার টাকা দিয়ে ভর্তি হলেও কয়েকদিন আগে মেসে গিয়ে উঠেছে। তাঁর বাড়িতে সমস্যা থাকা সত্ত্বেও তাকে নেত্রী ছুটি দিতো না। নেত্রী ছুটি না দিলে যদি কেউ যায় সে আর হলে উঠতে পারেনা। তিনি মার্কেটে গেলে সবাইকে সঙ্গে যেতে হবে সে যত কাজই থাক। আর মোবাইলে ফ্লাক্সিলোড দিতে বললে দিতে হবে, টাকা নেত্রী পরে দিবেন বললেও- কোন দিন দেন না ।রুমে পড়াশনা করা কষ্ট। কারন নেত্রী ৯/১০ থেকে কথনো ২/৩ টা পর্য়ন্ত ফোনালাপ করেন তাতে পড়াশুনা আদৌ সম্ভব না।তিনি বলেন এগুলো পলিটিক্যাল রুম। এখানে পড়াশুনা না। ৮ জন ছাত্রীর জায়গায় ১৫-১৬ জন-ফ্লোরিং করে থাকলে এমনিতেই পড়াশুনা কতটা হয় তা সবার জানা তারপর পড়ার সময় ফাইক-ফরমায়েস থেকে ফোনালাপ। নেত্রীর আত্মীয় স্বজন অসুস্থ হলে হাসপাতালে ডিউটি থেকে রোগী -,অরোগীদের জন্য রান্নাও করতে হয় ছাত্রীদের।বিপ্লবীপ্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার এখানের ছাত্রী ছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ কলেজের ছাত্রী। একজন সহ-সভাপতির দাপটের চেহারার একটি অংশ এটা। পত্রিকার ধারাবাহিক প্রতিবেদনের লিংক দেব- আশাকরি পড়বেন।