এ মৃত্যু পুরী আমার দেশ না
এ জল্লাদের উল্লাস মঞ্চ আমার দেশ না।
আজ পাবনা হিমায়েতপুরে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রমের গুরুভ্রাতা শ্রীনিত্যরঞ্জন পাণ্ড প্রাতঃভ্রমন কালে জবাই করে হত্যা করা হয়।আশ্রমে এখন শোকের ছায়া বিরাজ করছে। তিনি শান্ত শিষ্ট মানসিকতার ব্যক্তি ছিলেন; প্রকৃতপক্ষে একনিষ্ট কর্মী। আশ্রমে ফিলনথ্রপিতে তিনি কাজ করতেন।
পাবনা পক্ষকাল
পাবনার হেমায়েতপুরে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকুল চন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রমের সেবক নিত্যরঞ্জন পাণ্ডেকে (৬২) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নিত্যরঞ্জন পাণ্ডে গোপালগঞ্জ সদরের আরুয়া কংশু এলাকার মৃত রশিক লাল পাণ্ডের ছেলে। তিনি ৩৭/৩৮ বছর ধরে পাবনার ঠাকুল অনুকুল চন্দ্রের আশ্রমে সেবক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রতিদিনের মতো ভোরে রাস্তায় হাঁটতে বেরিয়েছিলেন নিত্যরঞ্জন পাণ্ডে। পাবনা মানসিক হাসপাতালের উত্তর পাশের প্রধান গেটে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা পেছন থেকে নিত্যরঞ্জন পাণ্ডেকে ঘাড়ে-মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
তবে কারা কি কারণে নিত্যরঞ্জনকে হত্যা করেছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। ওসি আরও জানান, হত্যার কারণ ও হত্যাকারী সম্পর্কে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পাবনার পুলিশ সুপার আলমগীর কবিরসহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।
দেশের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডের অংশ হিসেবে পাবনার হেমায়েতপুর অনুকুল চন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রমের সেবায়েত নিত্যরঞ্জনকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
অনুকুল সেবাশ্রমের সাধারণ সম্পাদক যুগল কিশোর ঘোষ জানান, নিত্যরঞ্জন খুবই নিরীহ প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তার কোনো শক্র ছিল না। কী কারণে তাকে হত্যা করা হলো তা তারা এখনো বুঝে উঠতে পারছেন না। তবে ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডের অংশ হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।