শনিবার, ১১ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » বাংলাদেশে জঙ্গী দমন অভিযানে নয়শো জন আটক
বাংলাদেশে জঙ্গী দমন অভিযানে নয়শো জন আটক
কাদির কল্লোল বিবিসি
বাংলাদেশে জঙ্গী এবং সন্ত্রাস দমনে পুলিশের বিশেষ অভিযানের প্রথম দিনে সারাদেশ থেকে নয়শ’র বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশের কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন।তবে আটকের সংখ্যা নিয়ে পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলছে না।পুলিশের মাঠ পর্যায়ের কর্মাকর্তারা বলছেন, জঙ্গী এবং সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত সন্দেহে যে তালিকা রয়েছে, তার ভিত্তিতে এই অভিযানে আটক করা হচ্ছে।পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভিযানে আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই করে আটক ব্যক্তির অপরাধ অনুযায়ী আইনের আওতায় নেয়া হবে।
রাজশাহী,নাটোর,পাবনা,গাইবান্ধা,বগুড়া এবং দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় সামপ্রতিক সময়ে জঙ্গী আক্রমণের ঘটনা বেশি ঘটেছে।
সপ্তাহদুয়েক আগেই গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জঙ্গীরা একজন দোকানদারকে গলা কেটে হত্যা করে।সেখানে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সন্দেহভাজন একজন জঙ্গীও নিহত হয় একদিন আগে।
Image copyright afp
Image caption অভিযানে র্যাবও অংশ নিচ্ছে
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম বলেছেন,গত মধ্য রাতের পর থেকেই গোটা জেলায় তারা অভিযান চালাচ্ছেন।এই অভিযানে জঙ্গীদের আটকের বিষয়ে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।তবে সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদেরও আটক করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
দেশের দক্ষিণ পশ্চিমে সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরায় জঙ্গী এবং সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের শুরুতেই পুলিশের সাথে কথিক বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছে। জেলা শহরটি থেকেই এ পর্যন্ত ৩৫ জনের বেশি সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তি এক সময় চরমপন্থীদের নেতা ছিলেন।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের স্ত্রীকে জঙ্গীরা হত্যা করে কয়েকদিন আগে।
এই হত্যাকান্ডের ঘটনার প্রেক্ষাপটে এখন পুলিশের বিশেষ অভিযান দেখা যাচ্ছে।সেখানকার পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গী আক্রমণের ব্যাপারে সন্দেহভাজনদের আটকের বিষয়কেই এই অভিযানে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
ঢাকায় পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে জঙ্গী তৎপরতা এবং অন্যান্য অপরাধের সাথে জড়িতদের বাছাই করা হবে।এতে আটক সন্দেহভাজন জঙ্গীর সংখ্যা অনেক কম হবে বলে তারা ধারণা করছেন।
এদিকে. পুলিশ সদরদপ্তরের মিডিয়া বিভাগের ডিআইজি শহিদুর রহমান বিবিসিকে বলেছেন, আটকদের অপরাধ চিহ্নিত করার পর সেই অপরাধ অনুযায়ী তাদের আইনের আওতায় নেয়া হবে।