মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ | ব্রেকিং নিউজ » জয়পুরহাটে চেয়ারম্যান হত্যা মামলার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
জয়পুরহাটে চেয়ারম্যান হত্যা মামলার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
পক্ষকাল ডেস্ক ; জয়পুরহাটে ইউপি চেয়ারম্যান এ কে আজাদ হত্যা মামলার সন্দেহভাজন দুই আসামি পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোর রাতে সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে বলে সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) অশোক কুমার পালের ভাষ্য।
নিহতদের মধ্যে সোহেল হোসেন (২৫) ওই উপজেলার ছাওয়ালপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। আর কুচকুড়ি গ্রামের মুনির হোসেনের (২৮) বাবার নাম লুৎফর রহমান।
নিহতদের পরিবারের কাউকে সকালে তাদের এলাকায় পাওয়া যায়নি। ফলে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
তাদের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান আজাদ হত্যা ছা্ড়াও ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বলে সহকারী পুলিশ সুপার জানান।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ‘সন্ত্রাসীদের হাতে’ নিহত সদর উপজেলার ভাদসা ইউপির চেয়ারম্যান এ কে আজাদের বাড়িতে হামলা করতে ‘একদল সন্ত্রাসী’ গোপালপুর গ্রামের মাঠে জড়ো হচ্ছে খবর পেয়ে পুলিশের একটি টহল দল সেখানে যায়।
“এ সময় সন্ত্রাসীরা পুলিশের টহল দলের দিকে গুলি ছুড়লে আত্মরক্ষার জন্য পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে দুই সন্ত্রাসী ঘটনাস্থলেই মারা যায়।”
সহকারী পুলিশ সুপার বলছেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সদর থানার ওসি ফরিদ হোসেনসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন; তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
গত ৪ জুন রাতে সদর উপজেলার দুর্গাদহ বাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে কোঁচকুঁড়ি গ্রামে বাড়ি ফেরার পথে একদল মুখোশধারী ভাদসা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ কে আজাদকে কুপিয়ে ও গুলি করে আহত করে।
আট দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রোববার ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান আজাদ।
তার বড় ভাই মুকুল মাস্টার জানান, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন আজাদ (৫৩)। ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত ভোটে জয়ী হয়ে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। গত ২৯ মে শপথ নিলেও দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার আগেই তিনি খুন হন।
আজাদ হামলার শিকার হওয়ার পরদিন তার ছোট ভাই এনামুল হক ছয়জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা করেন। সোহেল ও মুনির দুজনই ওই মামলায় আসামি বলে থানা পুলিশের তথ্য।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, গতবছর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে বা ‘ক্রসফায়ারে’ মোট ১৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ ধরনের ঘটনাকে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’ হিসেবে চিহ্নিত করে সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমালোচনা করে আসছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো।