বুধবার, ১৫ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | রাজনীতি » ঈদের প্রাক্কালে পুলিশের রমরমা গ্রেফতার বাণিজ্য : বিএনপি
ঈদের প্রাক্কালে পুলিশের রমরমা গ্রেফতার বাণিজ্য : বিএনপি
পক্ষকাল ডেস্ক : ঈদের প্রাক্কালে পুলিশের গ্রেফতার বাণিজ্যকে আরও রমরমা করার জন্যই অসহায় সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বুধবার (১৫ জুন) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘নির্মম সত্য হলো-শেখ হাসিনা শুধু গণতন্ত্রকেই ঘৃণা করেন তাই নয়, নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য তিনি দেশব্যাপী জঙ্গিবাদের পরিচর্যা করেন, সে জন্যই এখন দেশব্যাপী জঙ্গিদের নির্দয় হত্যালীলা চলছে এবং তারা অবাধে দেশের সর্বত্র চলাচল করছে। শেখ হাসিনার আশীর্বাদে এ দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযানের নামে গণগ্রেফতার এবং বন্দুকযুদ্ধের নামে মানুষ হত্যা মূলত মানুষের মনে জঙ্গিবাদ নিয়ে ঘন কুয়াশার সৃষ্টি করা, প্রকৃত অপরাধীকে ধরা নয়।’
রিজভী বলেন, ‘একটি জনসমর্থনহীন সরকার দ্বৈধতা, বৈধতা ও জনভীতিতে ভোগে। সে জন্য নিজেদের টিকিয়ে রাখতে কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক সৌজন্যের তোয়াক্কা করে না। ট্রাকের চাকায় পিষ্ট করে দিতে চায় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে।’
চলমান জঙ্গিবাদ বিরোধী সরকারি অভিযানে সারাদেশে এখন রাজত্ব করছে ভয় আর ত্রাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রমজান মাসের পবিত্রতাকে অগ্রাহ্য করে এ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযান সারাদেশের মানুষকে উৎকণ্ঠিত এবং উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, এ অভিযান প্রকৃত দুষ্কৃতকারীদের ধৃত নয়, বরং দেশের ও বিশ্বের মানুষকে বিভ্রান্ত করাটাই মুখ্য উদ্দেশ্য।’
‘সরকারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সাঁড়াশি অভিযানে কি প্রকৃত জঙ্গিদের ধরা হচ্ছে নাকি ভুতড়ে জঙ্গিদের ধরা হচ্ছে। সর্বত্র এ নিয়ে চলছে নীরব জল্পনা-কল্পনা। জনমনে দীর্ঘতর প্রশ্নবোধক চিহ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে’ যোগ করেন তিনি।
দেশব্যাপী জঙ্গিদের গ্রেফতারের নামে সাঁড়াশি অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১২ হাজার বিএনপি ও অন্যান্য দলসহ নানা স্তরের মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।
রিজভী বলেন, ‘পুলিশ দেড়শর কাছাকাছি সন্দেহভাজন জঙ্গিদের গ্রেফতার করেছে বলে জানালেও প্রকৃত অপরাধ সংঘটনকারীদের ধরতে পেরেছে কি না তার নিশ্চিত করতে পারেনি। শুধু বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ সমর্থকদের আটকের সংখ্যা ২৫০০ অধিক।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শুধু ঘোলা পানিতেই মাছ শিকার করতে চাচ্ছেন, আর এ জন্যই তিনি অন্যের ওপর দায় চাপিয়ে দিয়ে জঙ্গি তৎপরতার বিষয়ে মুখ ফিরিয়ে রাখেন। তবে এখন বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সর্বত্র শেখ হাসিনার অপকৌশল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়ে গেছে।’
‘দেশব্যাপী গণগ্রেফতার এবং বন্দুকযুদ্ধের নামে মানুষ হত্যার কুটিল পরিকল্পনা এখন আর কারো কাছে অজানা নয়। ‘ট্রিগার-হ্যাপী’ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকাণ্ডের মূল লক্ষ্য কি তা শেখ হাসিনার ঝুলি থেকে ক্রমাগতভাবেই বেরিয়ে পড়ছে’, বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাখাওয়াত হোসেন জীবন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক