মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন মীর কাসেমের
পক্ষকাল ডেস্ক;একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী তার দণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেছেন।রোববার আপিল সংশ্লিষ্ট শাখায় মীর কাসেমের পক্ষে এ আবেদন করেছেন তার আইনজীবী। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানোর জন্য দুপুর ২টার দিকে তার আইনজীবীরা সংবাদ সম্মেলন করবেন।
৬৮ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ১৪টি যুক্তি দেখানো হয়েছে রিভিউ আবেদনে। দুপুর ১২টার দিকে মীর কাসেমের আইনজীবী মীর আহমেদ বিন কাসেম আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিভিউ আবেদনটি দাখিল করেন।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এই সদস্যকে ২০১৪ সালের নভেম্বরে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। এই রায়ের বিরুদ্ধে কাসেম আপিল করলে সেখানে তার সর্বোচ্চ সাজা বহাল থাকে।
রিভিউয়েও যদি মীর কাসেমের ফাঁসির রায় বহাল থাকে তবে তার সামনে খোলা থাকবে কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ। ক্ষমা চেয়ে ক্ষমা না পেলে রাষ্ট্র তার দণ্ড কার্যকর করবে।
ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে গত ৮ মার্চ মীর কাসেম আলীর আপিল খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ।
আপিলের রায়ে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিন আহমেদকে খুনের দায়ে এক অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড এবং আরও ছয় অভিযোগে ৫৮ বছর কারাদণ্ডের সাজা বহাল রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ নম্বর অভিযোগে হত্যার দায় থেকে এই জামায়াত নেতা অব্যাহতি পেলেও ১১ নম্বর অভিযোগ সর্বোচ্চ সাজাই বহাল রাখা হয়েছে।
এর আগে ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে দুই অভিযোগে মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড এবং আট অভিযোগে সব মিলিয়ে ৭২ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল।
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ জুন মতিঝিলে নয়া দিগন্ত কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এই ব্যবসায়ীকে। পরের বছর ৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার বিচার। ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের রায়ে মীর কাশেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।