রবিবার, ১৯ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » »
জার্মানির কাঁচের ভবনের মতো প্রেসক্লাব চান প্রধানমন্ত্রী
৮০র দশকে জার্মানিতে একটি জাতীয় দৈনিকের অফিস ভবন পরিদর্শন করতে গিয়ে ভবনটির সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বহুতল ভবনের উপরে উঠে তিনি তাকিয়ে দেখেন ডানে বামে সব দিকে স্বচ্ছ কাঁচ দিয়ে ঘেরা। স্বচ্ছ কাঁচের উপর পায়ে হেঁটে যাওয়ার সময় মনে মনে ভাবছিলেন ঠিক মতো হাঁটছেন তো। ডানে বামে যাওয়ার সময় কেমন যেন ইতস্ততবোধ হচ্ছিল। কারণ তিনি হলেন গাও গেরামের মানুষ। ওই সময়ে এমন ভবন চোখে দেখেননি তিনি। সেই ধরনের এক দৃষ্টিনন্দন ভবন গড়ার স্বপ্ন আজও দেখেন প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার বিএফইউজে ও ডিইউজের ইফতার পার্টিতে যোগদান শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সিনিয়র সংবাদকর্মী, বিএফইউজে ও ডিইউজের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিন দশকের পুরোনো স্মৃতির কথা তুলে ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জন্য এমনই এক স্বপ্নময় ভবন গড়ে তোলার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি শফিকুর রহমান ও সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার প্রধানমন্ত্রীকে জানান, স্বপ্নময় প্রেসক্লাব গড়ে তোলার জন্য ৩১তলা ভবনের নকশা তৈরি করা হয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ভবনটির সম্পূর্ণ আর্থিক অনুদানের অনুরোধ জানান।
এসময় প্রধানমন্ত্রী জানান, গত বছর বিএফইউজে ও ডিইউজের ইফতার মাহফিলে এসে দৃষ্টিনন্দন একটি প্রেসক্লাব নির্মাণের প্রস্তাব তিনিই দিয়েছিলেন। তবে ভবন তৈরির সম্পূর্ণ খরচ তিনি দিতে চান না। এক্ষেত্রে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের মালিকদের এগিয়ে আসতে হবে।
গোলাম সারওয়ার প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের জায়গা বঙ্গবন্ধুই দিয়েছিলেন। এখন সদস্য সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় নানা সমস্যা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী অনুমতি দিলে তৃতীয় তলায় কাজ করে আপাত সমস্যার সমাধান করতে পারেন। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, পুরোনো ভবনে আর কাজ না করে নতুন ভবনের কাজে হাত দেয়াই ভাল।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, এখন নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হলে পরের বার ক্ষমতায় এসে বাকিটুকু কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। তার কথার প্রসঙ্গ ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাজ শুরু করুন। দুই বছরের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন জাতীয় প্রেসক্লাবের বর্তমান কমিটিতে কোন নারী সদস্য রাখা হয়নি এ বিষয়ে দৃষ্টি আর্কষণ করলে প্রধানমন্ত্রী নেতৃবৃন্দের কাছে একজন নারী কেন রাখা হয়নি তা জানতে চান। এসময়ে তিনি নেতৃত্বে নারীদের রাখার পরামর্শ দেন।