বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » আ. লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা
আ. লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা
পক্ষকাল প্রতিবেদকঃ বৃহস্পতিবার দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলটির ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও পতাকা উত্তোল করা হয়।ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
সকাল সাড়ে ৮টায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কে পৌঁছে প্রথমে সরকারপ্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় তিনি কিছুক্ষণ সেখানে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
পরে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমদ ও ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ওবায়দুল কাদের, মোশাররফ হোসেন, সাহারা খাতুন ও সতীশ চন্দ্র রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল-আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও দীপু মণি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ফারুক খান, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল ও কার্যনিবাহী সংসদের সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলকসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী; দলীয় পতাকা তোলেন মতিয়া চৌধুরী। এর পর প্রধানমন্ত্রী বেলুন ও পায়রা উড়ান।
বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা হবে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় নেতা-কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
দল গঠনের সময়ের নেতাদের স্মরণ করে এক বাণীতে তিনি বলেন, “আমি স্মরণ করছি, জাতীয় চার নেতাসহ আমাদের পূর্বসূরি নেতা-কর্মীদের, যাদের অক্লান্ত শ্রম, মেধা ও ত্যাগের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ আজ গণমানুষের এক বিশাল সংগঠনে পরিণত হয়েছে।”
বাঙালি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে মুসলিম লীগের প্রগতিশীল একটি অংশের উদ্যোগে ১৯৪৯ সালের সালের ২৩ জুন ঢাকায় গঠন করা হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’, যার নেতৃত্বে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।
প্রতিষ্ঠাকালে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী দলটির সভাপতি, শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক এবং কারাবন্দি শেখ মুজিবুর রহমান যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন।
আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে যাত্রা শুরু করলেও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ১৯৫৫ সালের কাউন্সিলে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’ নাম দেওয়া হয়, যা স্বাধীনতার পর হয় ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’।