রাজউক কর্মচারীর সোয়া ২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ
ঢাকা : সালাউদ্দিন মিয়া রতন। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নিম্নমান সহকারী হিসেবে যোগদান করেন ২০০১ সালে। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৯ সালে সাময়িক বরখাস্তের পর ২০১১ সালে তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করে রাজউক। যিনি এখন ২ কোটি ২৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক। ২০০১ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে তিনি এই বিপুল পরিমান অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার বিকেলে তার বৈধ সম্পদের বাইরে এ বিপুল পরিমান অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় একটি মামলা করেছে দুদক।
দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক নুর আলম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলা নম্বর- ৪১। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা বাংলামেইলকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এদিকে, রতনের স্ত্রীর অবৈধ সম্পদ আছে কি-না দুদক তা খতিয়ে দেখছে বলে জানা গেছে।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, রাজউকের সাবেক নিম্নমান সহকারী সালাউদ্দিন মিয়া রতনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এলে তা আমলে নিয়ে গত মার্চ মাসে অনুসন্ধানে নামে দুদক। অনুসন্ধানে রতন ও তার ওপর নির্ভরশীলদের স্থাবর-অস্থাবর যাবতীয় সম্পদের হিসাব চেয়ে চিঠি দেয় দুদক। পরবর্তীতে তিনি হিসাব দিলেও সেখানে ১ কোটি ১৮ টাকার সম্পদ গোপন করেন। যা অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে।
এছাড়া, দুদকের অনুসন্ধানে আরো ১ কোটি ৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ পাওয়া যায়। এভাবে তার বৈধ সম্পদের বাইরে তিনি মোট ২ কোটি ২৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। যা রাজউকের একজন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর পক্ষে মাত্র আট বছরে সৎপথে উপার্জন করা অসম্ভব।
রতনের এসব সম্পদের মধ্যে আছে রাজধানীর অভিজাত এলাকা ধানমন্ডিতে একটি ফ্ল্যাট। যার মূল্য প্রায় ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এছাড়া, খিলক্ষেতে আছে চারতলা বিশিষ্ট একটি পাকা ও দুটি টিনসেড বাড়ি এবং নিকুঞ্জতে একটি টিনসেড বাড়ি। পূর্বাচলে আছে ৫ কাঠার প্লট। তিনি ২০০৯ সালের মধ্যে এসব করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
অপর দিকে, তার স্ত্রী শিরিন সুলতানার অবৈধ সম্পদ আছে কি-না তা অনুসন্ধান করছেন দুদক। দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক নুর আলম এটি অনুসন্ধান করছেন। ইতোমধ্যে তিনি শিরিন সুলতানা ও তার নির্ভরশীলদের যাবতীয় সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলের নোটিস জারির সুপারিশ করেছেন। অল্প কিছু দিনের মধ্যে দুদকের উপ-পরিচালক মো. ইব্রাহীম শিরিন সুলতানার সম্পদ বিবরণী চেয়ে নোটিস করবেন।