আইএসের প্রধান অস্ত্র: ক্যাপটাগন, ধর্ম ও যৌনতা
ডেস্ক
উগ্রবাদী ইসলাম আর মারণাস্ত্র ছাড়াও আইএস-এর গোপন অস্ত্র আছে। তার নাম হল ‘ক্যাপটাগন’। ক্যাপটাগন হল উচ্চমাত্রার যৌন উত্তেজক পিল, amphetamin ক্যাটাগরির অনেকগুলো পিলের মাঝে সৌদি আরব, সিরিয়া, ইরাকে সবচে’ জনপ্রিয় হল ক্যাপটাগন। সিরিয়া বর্তমানে এর সবচে’ বড় ভোক্তা ও সবচে’ বড় রপ্তানীকারক দেশ। সিরিয়া কয়েকশ মিলিয়ন ডলার আয় করে এ ক্যাপটাগন বাণিজ্যের মাধ্যমে, এ টাকা যায় আগ্নেয়াস্ত্র কেনার জন্য, যুদ্ধের খরচ জোগানোর তহবিলে।
২০১৩ সালে লেবানন সরকার লেবানন-সিরিয়া সীমান্তে ১২ মিলিয়ন এ পিলের বড় একটি চালান আটক করে, একই বছর তুরস্ক ৭ মিলিয়ন পিল আটক করে, গত বছরের ডিসেম্বরে দুবাই সরকার সাড়ে চার মিলিয়ন পিল আটক করে। সৌদি আরবে ৪০% মুসলিম ক্যাপটাগন ও amphetamin ক্যাটাগরির মাদকে আসক্ত বলে এক গবেষণায় জানা গেছে।
১৯৬১ সালে জার্মানীর তৃতীয় বৃহত্তম ঔষধ কোম্পানী Degussa AG যেসব শিশুদের Attention Deficit Hyperactivity Disorder আছে তাদের চিকিৎসার জন্য এ amphetamin বা Fenethylline আবিষ্কার করে। ক্যাপটাগন হল এর একটি ব্রান্ড বা ড্রাগ ককটেলের নাম।
জেহাদীরা সারা বিশ্বে এ ক্যাপটাগন পিল খাচ্ছে, যে কারণে তারা মৃত্যুর ভয় করছে না, এছাড়া শাহাদত বরণ করলে জান্নাতের লোভ ও হুরের লোভ তো আছে। হারেমে বন্দী অমুসলিম নারীকে ভোগ করার যথেচ্ছ যৌনস্বাধীনতা (ধর্মস্বীকৃত), এক হাতে পুরনো মতবাদের ধর্মগ্রন্থ, অন্যহাতে আগ্নেয়াস্ত্র, আর রক্তের ভেতরে ক্যাপটাগনের উন্মাদনা নিয়ে আইএস স্বমূর্তিতে আজ ধর্মকায়েমে ধাবিত। ইরাক, সিরিয়ায় সম্মুখযুদ্ধে মৃত আইএস যোদ্ধাদের পকেটে ক্যাপটাগন পাওয়া যায়। ধারণা করা হয়, এ পিল খাওয়ার কারণেও তারা উন্মাদের মত আচরণ করার সুযোগ পায় এবং সুইসাইড মিশনগুলোর আগে দীর্ঘ কয়েক মাস তাদের প্রস্তুতি নিতে হয়, এ সময়ে তাদের নিয়মিত ক্যাপটাগন পিল খাওয়ানো হয়।
ঢাকায় মৃত জঙ্গীদের পূর্বেকার ছবি ও কয়েকমাস পরে হামলা করে নিহত ছবির চেহারা বা অবয়বগত কিছু পার্থক্যের মূল কারণ আসলে ক্যাপটাগন।