নিখোঁজ ১০ যুবকের সন্ধান চায় পরিবার
প্রতিবেদক
আশরাফ মোহাম্মদ ইসলাম, এ টিএম তাজউদ্দিন, ইব্রাহীম হাসান খান, জুবায়েদুর রহিম, জুন্নুন শিকদার, জুনায়েদ খান, তামিম আহমেদ চৌধুরী, নজিবুল্লাহ আনসারী, মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ওজাকি ও মোহাম্মদ বাসারুজ্জামান (উপরে বাঁ থেকে ঘড়ির কাটার দিকে)।
আশরাফ মোহাম্মদ ইসলাম, এ টিএম তাজউদ্দিন, ইব্রাহীম হাসান খান, জুবায়েদুর রহিম, জুন্নুন শিকদার, জুনায়েদ খান, তামিম আহমেদ চৌধুরী, নজিবুল্লাহ আনসারী, মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ওজাকি ও মোহাম্মদ বাসারুজ্জামান (উপরে বাঁ থেকে ঘড়ির কাটার দিকে)।
গুলশানে হামলাকারীদের কয়েক মাস ধরে নিখোঁজ থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর ১০ যুবকের সন্ধান চেয়ে তাদের প্রতি ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র থেকে বুধবার জানানো হয়, এই ১০ যুবকের সন্ধান পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চেয়েছে তাদের পরিবার।
তবে নিরাপত্তার স্বার্থে ওই সব পরিবারের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
নিখোঁজরা হলেন- ঢাকার তেজগাঁওয়ের মোহাম্মদ বাসারুজ্জামান, বাড্ডার জুনায়েদ খান (পাসপোর্ট নম্বর- এ এফ ৭৪৯৩৩৭৮), চাপাইনবাবগঞ্জের নজিবুল্লাহ আনসারী, ঢাকার আশরাফ মোহাম্মদ ইসলাম (পাসপোর্ট নম্বর-৫২৫৮৪১৬২৫), সিলেটের তামিম আহমেদ চৌধুরী (পাসপোর্ট নম্বর-এল ০৬৩৩৪৭৮), ঢাকার ইব্রাহীম হাসান খান (পাসপোর্ট নম্বর-এ এফ ৭৪৯৩৩৭৮), লক্ষ্মীপুরের এ টিএম তাজউদ্দিন (পাসপোর্ট নম্বর- এফ ০৫৮৫৫৬৮), ঢাকার ধানমণ্ডির জুবায়েদুর রহিম (পাসপোর্ট নম্বর-ই ১০৪৭৭১৯), সিলেটের মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ওজাকি (পাসপোর্ট নম্বর-টি কে ৮০৯৯৮৬০) ও জুন্নুন শিকদার (পাসপোর্ট নম্বর-বি ই ০৯৪৯১৭২)।
গত শুক্রবার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে একদল অস্ত্রধারী ঢুকে দেশি-বিদেশি অন্তত ৩৩ অতিথিকে জিম্মি করার পর ২০ জনকে হত্যা করে।
এই ‘হামলাকারীদের’ ছবি সাইট ইন্টেলিজেন্স প্রকাশ করার পর তাদের সঙ্গে মিল দেখে পরিচিতজনরা পুরনো ছবি পাশাপাশি রেখে শেয়ার করতে থাকেন।
এর মধ্য দিয়ে পাঁচ হামলাকারীরই পরিচয় জানা সম্ভব হয়, যাদের মধ্যে স্কলাসটিকার সাবেক ছাত্র রোহান ইমতিয়াজ ও বর্তমান ছাত্র মীর সামেহ মুবাশ্বের এবং নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র নিবরাজ ইসলাম গত কয়েক মাস ধরে নিখোঁজ বলে পরিবারের ভাষ্য।
অপর দুই হামলাকারী বগুড়ার ধুনটের শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল এবং শাজাহানপুর উপজেলার চোপিনগর ইউনিয়নের বৃ-কুষ্টিয়া গ্রামের মো. খায়েরুজ্জামানও কয়েক মাস ধরে পরিবারের যোগাযোগের বাইরে ছিলেন বলে তাদের স্বজনরা জানান।
তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর জেলার আর কোনো যুবক নিখোঁজ আছেন কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে বগুড়ার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান জানিয়েছিলেন।
এদিকে র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদও পরিবারের কোনো সদস্য নিখোঁজ থাকলে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে তা জানাতে অনুরোধ করেন।