জঙ্গি দমনে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান
পক্ষকাল সংবাদ
গুলশান ট্রাজেডিসহ সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদ।
তিন দিনের সফরে এসে রোববার রংপুরের নিজ বাসভবন পল্লীনিবাসে সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
এরশাদ বলেন, ‘জঙ্গিবাদ দমনে সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে এখনই একটি সর্বগ্রহণযোগ্য রূপরেখা ও অ্যাকশন প্লান প্রস্তত করতে হবে।’
তিনি দেশের এই সংকট উত্তরণে সরকারকেই এগিয়ে এসে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মন্তব্য করেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তাদের ব্যর্থতার কারণে ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান ও শোলাকিয়া ঈদগাহ এলাকায় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এজন্য গোয়েন্দাদের ব্যর্থতাকে সরাসরি দায়ী করে তিনি প্রশ্ন তোলেন, জঙ্গিরা এতগুলো অস্ত্র কি করে সেখানে (গুলশান) বহন করে নিয়ে গেল? গোয়েন্দা বিভাগ কেন জানল না?
এজন্য নতুন করে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে ঢেলে সাজাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানান তার এই বিশেষ দূত।
তিনি আরও বলেন, সরকার সন্ত্রাস দমনে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারকে সন্ত্রাস মোকাবেলা করতে হবে। তা না হলে এর দায় তাদেরই বহন করতে হবে।
এরশাদ বলেন, জঙ্গি হামলার কারণে সারা বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। দেশে বিদেশী বিনিয়োগ ও অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়েছে।
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের মানুষ ভাল নেই। নাগরিকরা যেমন নিরাপত্তহীনতায় বসবাস করছেন, বিদেশীরাও এখন এদেশে আসতে ভয় পাচ্ছেন।
জঙ্গিদের উত্থানের বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, দেশে বর্তমানে শিক্ষিত যুবকের সংখ্যা বেড়ে গেছে। কর্মসংস্থান না থাকায় তারাও হতাশ হয়ে জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকছে।
বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা না হলে জঙ্গিরা তাদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে আরও বেশি করে নিজেদের দলে সম্পৃক্ত করবে বলে আশংকা প্রকাশ করেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।
এ সময় ঢাকার গুলশানে ও শোলাকিয়ায় পুলিশসহ নিরীহ মানুষের প্রাণহানিতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন এরশাদ।
তিনি বলেন, এ জন্য আমি লজ্জিত ও দুখিঃত। এর মাধ্যমে সারা বিশ্বের কাছে আমাদের দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। আমরা ছোট হয়ে গেছি।
এ সময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলেন- পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর খালেদ আকতার (অব.), পার্টির জেলা কমিটির আহ্বায়ক সাবেক সাবেক সংসদ সদস্য মোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, সদস্য সচিব সাবেক সংসদ সদস্য হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, মহানগর কমিটির আহ্বায়ক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সদস্য সচিব এসএম ইয়াসিরসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।