শনিবার, ১৬ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » বিশ্ব সংবাদ | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা, নিহত ৪২
তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা, নিহত ৪২
অনলাইন ডেস্ক
তুরস্কের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এমআইটি দাবি করেছে, স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে সামরিক বাহিনীর একটি অভ্যুত্থান চেষ্টাকে ‘প্রতিহত’ করার পর বর্তমানে দেশটির পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ রয়েছে।
তুর্কি টেলিভিশন এনটিভি আজ শনিবার সকালে এমআইটি’র মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে।
টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, রাজধানী আঙ্কারায় অভ্যুত্থান চেষ্টার পক্ষে সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার গুলি করে ভূপাতিত করেছে সরকারি ফাইটার বিমান। সরকারি বাহিনী অভ্যুত্থানকারীদের হাত থেকে আঙ্কারার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা টিআরটি’র নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে অভ্যুত্থান চেষ্টায় জড়িত শতাধিক সেনাকে আটক করেছে পুলিশ।
দেশের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বলেছেন, পরিস্থিতি এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং রাজধানী আঙ্কারার আকাশে বিমান উড্ডয়ন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নিহত ৪২
তুরস্কে অভ্যুত্থান চেষ্টাকালে ১৭ পুলিশসহ অন্তত ৪২ ব্যক্তি নিহত হয়েছে। অভ্যুত্থানকারীরা হেলিকপ্টারের সহায়তায় রাজধানী আঙ্কারায় পুলিশের বিশেষ বাহিনীর প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালালে ১৭ পুলিশ নিহত হন। তুর্কি সরকার এ তথ্য জানিয়েছে।
এরদোগানের প্রতি আমেরিকার সমর্থন
এদিকে, প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে তুরস্কের ঘনিষ্ঠ মিত্র আমেরিকা। দেশটির প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এক বিবৃতিতে সকল পক্ষকে দেশের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে সমর্থন করার জন্য এবং রক্তপাত এড়ানোর আহ্বান জানান।
টেলিভিশনে অভ্যুত্থানের ঘোষণা
এর আগে, রাষ্ট্রীয় একটি টেলিভিশন থেকে তুরস্কের সেনাবাহিনীর একটি অংশ দাবি করে যে, তারা দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও মানবাধিকার রক্ষার স্বার্থে’ সশস্ত্র বাহিনী তুরস্কের ক্ষমতা দখল করেছে বলে খবরে বলা হয়।
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, এখন থেকে একটি ‘পিস কাউন্সিল’ দেশ পরিচালনা করবে। দেশে কারফিউ এবং মার্শাল ল’ জারি করা হয়েছে।
টিভিতে প্রচারিত বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এরদোগান সরকারের করা ডেমোক্রেটিক এবং সেকুল্যর নিয়মকে বাদ দেয়া হবে। আন্তর্জাতিক সব চুক্তি এখনও বৈধ আছে। অন্য দেশের সঙ্গে তৈরি করা সুসম্পর্ক বজায় থাকবে বলে আশা করছে সেনাবাহিনী।
প্রতিহতের আহ্বান এরদোগানের
তবে, সরকারের পক্ষ থেকে একে অভ্যুত্থান না বলে ‘সেনাবাহিনীর একটি অংশের ক্ষমতা দখল চেষ্টা’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
মোবাইল ফোনে দেয়া এক ভাষণে সমর্থকদের রাস্তায় নামার আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট এরদোগান
মোবাইল ফোনে দেয়া এক ভাষণে সমর্থকদের রাস্তায় নামার আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট এরদোগান
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, ‘সেনাবাহিনীর একটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর’ এই বিদ্রোহ মোকাবেলা করা হবে। এটি (অভ্যুত্থান) সেনাবাহিনীর উপর মহল থেকে নির্দেশিত হয়নি। কিছু বিপথগামী সেনাসদস্য অপচেষ্টা চলিয়েছে।’
এই বিদ্রোহ নস্যাৎ করতে জনগণকে রাজপথে নেমে আসারও ডাক দেন এরদোগান।
প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ডাকে সাড়া দিয়ে রাস্তায় নেমেছে তার সমর্থকরা
প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ডাকে সাড়া দিয়ে রাস্তায় নেমেছে তার সমর্থকরা
তার ডাকে সাড়া দিয়ে হাজার হাজার সমর্থক বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করছে। তবে,এখনো ট্যাংক নিয়ে বিদ্রোহী সেনারা বিভিন্ন শহরে আগের মতো অবস্থান ধরে রেখেছে।