কিছু একটা হতে পারে, সজাগ থাকুন: আশরাফ
পক্ষকাল সংবাদঃ পঁচাত্তরের পুনরাবৃত্তি রুখতে সবাইকে ‘সজাগ’ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীতে মুক্তিযোদ্ধাদের এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “আমরা নিশ্চিত মৃত্যু জেনে মুক্তিযুদ্ধ করেছি, যার ডাকে মুক্তিযুদ্ধ করেছি স্বাধীনতার কয়েক বছরের মাথায় তাকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছে।”দেশে যাতে পঁচাত্তরের মত এমন কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় এর জন্য সবার সজাগ থাকার প্রয়োজন আছে। আপনাদের সব সময় মনে মনে একটা প্রস্তুতি রাখা দরকার।”
তিনি বলেন, “ঝড়-বৃষ্টি নাই, গাছের পাতা নড়ছে না, তখন বুঝতে হবে একটা কিছু হতে পারে। তাই আমি ইঙ্গিত দিয়ে বললাম সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”
কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদ’ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল জাতীয় নির্বাহী কাউন্সিল সভা করে।
সভায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে উদ্দেশ করে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, “বাংলাদেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের একত্রিত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মঞ্চ গঠন করে মক্তিযুদ্ধের ভিত্তিতে একটি রাজনৈতিক প্লাটফর্ম তৈরি করি।
“এরই মধ্যে জাতির কয়েকজন ‘কুলাঙ্গার সন্তান’ একত্রিত হয়ে শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে যা ইচ্ছা তাই বলে যাচ্ছে। এদের মধ্যে একজন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক জাফরুল্লাহ চৌধুরী।”
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে একাত্তরে দেশবিরোধী ভূমিকার জন্য জামায়েত ইসলামকে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিয়ে জাফরুল্লাহ বলেছিলেন, “জামায়াতে ইসলামীর পূর্ব পুরুষরা মুক্তিযুদ্ধের সময় যে অন্যায় করেছে, দেশ বিরোধিতা করেছে, এর জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।”
মুক্তিযোদ্ধাদের কবর জিয়ারত করারও পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।
নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, “জাফরুল্লার এই পরামর্শের উদ্দেশ্য, কোনো সৎ উদ্দেশ্য নয়; এই উদ্দেশ্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নষ্ট করা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে ধংস করা। আর আমরা তখন এই প্লাটফর্মে মুক্তিযুদ্ধের সৈনিকরা এগিয়ে আসছিলাম তখন উনি লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন।”
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে শাজাহান খান বলেন, “খালেদা জিয়া ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উন্মাদ হয়ে গেছেন। পাকিস্তানি গোয়েন্দা বাহিনী, আই এস ও মোসাদের সাথে যোগাযোগ করে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ইবলিশের সাথেও হাত মেলাতে দ্বিধা বোধ করবে না।”
মুক্তিযোদ্ধাদের এই সভায় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন,”প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের কোনো দাবির কথা শুনলে আর না বলেন না। আপনাদের দাবি অনুযায়ী বোনাসের কথা আমি তুলে ধরেছি। সামনে আপনারা দুই ঈদের পাশাপাশি পহেলা বৈশাখ, স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে বোনাস পাবেন।”
প্রত্যেক উপজেলায় শতকরা ৫ ভাগ মুক্তিযোদ্ধারে জন্য একটি করে আবাসিক সুব্যবস্থা সম্পন্ন কমপ্লেক্স করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানন মন্ত্রী।
‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদ’ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হেলাল মুর্শেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ইসমত কবির গামা।