মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » জামায়াতকে বাদ দিয়েই সরকারের সঙ্গে আলোচনা চায় বিএনপি!
জামায়াতকে বাদ দিয়েই সরকারের সঙ্গে আলোচনা চায় বিএনপি!
পক্ষকাল ডেস্ক
জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় বিএনপির পক্ষ থেকে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু সরকারি দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তারপরও এই দুর্যোগ থেকে জাতিকে রক্ষার জন্যে খালেদা জিয়ার নেতৃতে জাতীয় ঐক্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বিএনপি। এমনকি সরকার বিএনপিকে আলোচনায় ডাকলে জামায়াত ছাড়াই আলোচনায় বসতে রাজি দলটি।
সরকার প্রত্যাখ্যান করলেও হাল ছাড়ছে না বিএনপি। যে কোন মূল্যে জাতীয় ঐক্য গড়তে বদ্ধ পরিকর দলটি। এমনকি শেষ পদক্ষেপ হিসেবে যারা খালেদা জিয়ার জাতীয় ঐক্যের পক্ষে সাড়া দেবেন তাদেরকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর পল্টনে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সাংবাদিকদের দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতকে নিয়ে সরকার কোন সমঝোতা কখনোই চাচ্ছে না এর আগেও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে জামায়াতকে বাদ দিলে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। তাহলে দেশ ও জাতির স্বার্থে কেন জামায়াত প্রশ্নে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বিএনপি? এই প্রশ্নের জবাবে আহমদ আযম বলেন, সরকার একবারের জন্যেও বলেনি বিএনপিকে আমরা অফার দিলাম, জামায়াতকে ছাড়াই আপনারা আলোচনায় আসেন। কই তারা তো তা বলেননি।
সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনারা বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করবেন। ডাকেন না বিএনপিকে। দেখেন জামায়াতকে ছাড়া বিএনপি যায় কিনা। এখন বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের এলায়েন্স থাকলে তারা বিএনপিকে ডাকবে না। কিন্তু তারাতো স্বৈরাচারের সঙ্গে এলায়েন্স করেছে। এগুলো আর কিছু না এগুলো ঐক্যে না আসার একটা ফন্দি ফিকির।’
তিনি বলেন, আমরা জাতীয় ঐক্যের ব্যাপারে সরকারকে কোনো শর্ত দেয়নি। আমরা নি:র্শত ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছি। জামায়াত যেমন একদিক থেকে স্বীকৃত অন্যদিকে সরকারের সঙ্গে তো স্বীকৃত স্বৈরাচারও রয়েছে। আমরা কিন্তু একবারের জন্যও বলেনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে স্বীকৃত স্বৈরাচার আছে আমরা যাব না। আওয়ামী লীগ ঐক্য চায় না। কারণ ঐক্য হলেই দেশ থেকে যখন ঐক্যবদ্ধভাবে উগ্র ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা করার পরই আসবে আমাদের এই শান্তিপুর্ণ দেশে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রশ্ন।
আহমদ আযম বলেন, সেজন্য এখানে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার দরকার তাই নির্বাচন দিন। যেহেতু আপনারা নির্বাচিত সরকার নন। ওই ভয়েই মূলত আওয়ামী লীগ আমাদের সঙ্গে ঐক্যে আসছে না। জামায়াত প্রসঙ্গটা আসলে মুখ্য কোন বিষয় না।
জাতীয় ঐক্যের যে উদ্যোগ নিয়ে বিএনপি দেশের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে হঠাৎ করে সেই প্রক্রিয়াটি থেমে গেছে কিনা জানতে চাইলে আহমদ আযম বলেন, না এটা থেমে যায়নি। প্রতিটি ইভেন্ট প্রস্তুত করতে একটা সময়ের প্রয়োজন হয়। কাজেই জাতীয় ঐক্যের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোসহ শ্রেণি পেশার নেতৃবৃন্দের সাথে বেগম খালেদা জিয়ার মত বিনিময় এটা চলতে থাকবে।
আমরা সরকারের প্রতি আবারো আহবান জানিয়ে বলছি, সরকার হীনমনতায় না ভুগে, ক্ষুদ্র ও একমুখি চিন্তা না করে, ক্ষমতা ছাড়ার আতঙ্কে না ভুগে বর্তমান সমস্যা মোকাবেলা করার জন্যে অবশ্যই জাতীয় ঐক্যের ডাকে সাড়া দেবেন এবং উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
জাতীয় কনভেশন কবে নাগাদ সম্ভব হবে বলে মনে করেন জবাবে আহমদ আযম বলেন, সবার সঙ্গে আলোচনার শেষে তাড়াতাড়িই জাতীয় কনভেশনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এই কনভেশনের মধ্যে দিয়ে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হবে। তাই সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।