থার্টি ফার্স্ট নাইটে ডিএমপি’র নিরাপত্তা ব্যবস্থা
পক্ষকাল প্রতিবেদক:
ইংরেজি নববর্ষ ২০১৫ উদযাপন উপলক্ষে থার্টি ফার্স্ট নাইটে ডিএমপি কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিতকরণের লক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। শুরুতেই ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ সকল নগরবাসীকে ডিএমপি পুলিশের পক্ষ থেকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তিনি থার্টি ফার্স্ট নাইটে ডিএমপি কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে উপস্থিত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সদস্যদের অবহিত করেন। তিনি বলেন, নববর্ষ উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ডিএমপি কর্তৃক ব্যাপক ও বিস্তৃত পুলিশি নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে যাতে নগরবাসী শান্তিপূর্ণভাবে এটি উদযাপন করতে পারে। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন বাড়ির ছাদের নীচে, হোটেলে, ক্লাবে সকল স্থান গুলোকে আমরা নিরাপত্তার চাদরে নিয়ে আসবো।
তিনি ডিএমপি’র অনুমতি ছাড়া ঢাকা শহরের হোটেল, মোটেল, ক্লাব কিংবা ঢাকার অভ্যন্তরীণ কোথাও অনুষ্ঠানের আয়োজন না করার জন্য অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন সকল ডিপ্লোমেটিক জোন, বিশেষ করে বারিধারা ও গুলশান কুটনৈতিক পাড়া, গীর্জা, চার্চ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে। একই সাথে যাতে কেউ মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে না পারে সে জন্যও রাস্তায় এ্যালকোহল ডিটেক্টর মোতায়েন থাকবে।
তিনি বলেন, দয়া করে কেউ কোথাও আতশবাজি ফোটাবেন না। বিরক্তিকর শব্দ তৈরি করবেন না। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখ ঢাকা শহরের সকল কমার্শিয়াল বার সন্ধ্যা ৬ টা’র পর বন্ধ থাকবে। যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাদা পোষাকে ডিবি পুলিশ, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াট টিম মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও ডিএমপি’র সদস্যগণ এপিসি, ওয়াটার ক্যানন, মোবাইল ওয়াচ টাওয়ার, মোবাইল কমান্ড সেন্টার, স্টীল ও ভিডিও ক্যামেরা, সিসিটিভি, ভেহিকল স্ক্যানার, এ্যালকোহল ডিটেক্টর, মেটাল ডিটেক্টর ও বাংলাদেশ পুলিশে এই প্রথম অত্যাধুনিক বডি ওর্ন ক্যামেরাসহ কর্তব্যে নিয়োজিত থাকবে।
এছাড়াও তিনি বলেন যে, উন্মুক্ত স্থানে, রাস্তার মোড়ে কিংবা রাস্তায় কোথাও জন উপদ্রব সৃষ্টি করে গান-বাজনা করবেন না। কোন ফ্লাইওভারে জমায়েত না হবার জন্য তিনি অনুরোধ করেন। মদ্যপ অবস্থায় যানবাহন চালনা থেকে বিরত থাকার জন্যও অনুরোধ করেন।
তিনি থার্টি ফার্স্ট নাইটে মোবাইল প্যাট্রোল, ফুট প্যাট্রোল, মোটর সাইকেল প্যাট্রোল, পুলিশ চেকপোস্ট ইত্যাদির মাধ্যমে যেকোন ধরণের জনউপদ্রব ঠেকাতে পুলিশ মাঠে তৎপর থাকবে।