বুধবার, ২৭ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » প্রতিটি দেহে ৭ থেকে ৮ টি গুলি; বেশির ভাগ গুলি লেগেছে পেছন থেকে
প্রতিটি দেহে ৭ থেকে ৮ টি গুলি; বেশির ভাগ গুলি লেগেছে পেছন থেকে
অনলাইন ডেস্ক
রাজধানীর কল্যাণপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহত ৯ জঙ্গির লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তাঁরা সবাই গুলিতে নিহত হয়েছেন। বেশির ভাগ গুলি লেগেছে পেছনের দিক থেকে। প্রতিটি দেহে ৭ থেকে ৮টি করে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আজ বুধবার (২৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর পৌনে দুইটা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজে ওই নয়জনের লাশের ময়নাতদন্ত হয়। ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ।
ডা.সোহেল মাহমুদ বলেন ‘আমরা সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নিহত ৯ জঙ্গির সুরতহাল রিপোর্ট পাই। এরপর রিপোর্ট পর্যালোচনা করে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ময়না তদন্ত শুরু করি। ১টা ৫৫ মিনিটে ময়না তদন্ত শেষ হয়।’
ময়না তদন্ত সম্পর্কে তিনি জানান, গুলিবিদ্ধ হয়েই জঙ্গিরা মারা গেছে। প্রতিটি দেহে ৭ থেকে ৮টি করে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একজনের দেহ থেকে ৩ রাউন্ড, একজনের দেহ থেকে ২ রাউন্ড এবং অপর দুইজনের দেহ থেকে এক রাউন্ড করে মোট ৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
ডা. সোহেল বলেন, ‘রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য নিহতদের রক্ত, হাড় ও পাকস্থলি থেকে বিভিন্ন ধরনের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তারা শক্তিবর্ধক বা মাদকজাতীয় কোনো পদার্থ গ্রহণ করেছেন কিনা তা দেখা হবে। এছাড়া ডিএনএ টেস্টের জন্য প্রতিটি দেহ থেকে মাথার চুল, আঙুলের নখের চারি, রক্ত সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। যারা বা যিনি লাশ শনাক্ত করবেন তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করে তাদের কাছে কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।’
গুলশানের ঘটনায় সংগৃহীত আলামাতের সঙ্গে এ ঘটনায় সংগৃহীত আলামতের ধরণ ও অবস্থার মিল রয়েছে বলেও জানান ডা. সোহেল মাহমুদ।
গত সোমবার রাত থেকে শুরু করে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কল্যাণপুরের একটি বাসায় অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই অভিযানে ৯ জঙ্গি নিহত ও একজন আহত হয়। তাঁরা সবাই জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য বলে দাবি করেছে পুলিশ।