মঙ্গলবার, ২ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » জঙ্গি হত্যা করে ‘তথ্যের উৎস নষ্টের’ উদ্দেশ্য কী: বিএনপি
জঙ্গি হত্যা করে ‘তথ্যের উৎস নষ্টের’ উদ্দেশ্য কী: বিএনপি
ডেস্কঃ
সরকার জঙ্গিদের হত্যা করে ‘তথ্যের উৎস’ নষ্ট করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির নজরুল ইসলাম খান বলেন, “যারা সত্যিকারের জঙ্গি তারা নিহত হবে, আহত হবে… কষ্ট পাওয়ার কিছু নাই আমাদের। আমরা শুধু বলছি, তাদেরকে হত্যা করে তথ্যের উৎস নষ্ট করার উদ্দেশ্যটা কী? বরং তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে এই জঙ্গিদের মূল উৎস নির্মূল করা দরকার। বিএনপির বক্তব্য সেটাই।”
এর মধ্য দিয়ে জঙ্গিদের শেকড় সন্ধানের কাজটি ‘দুরূহ’ করে তুলে সরকার ‘নির্বুদ্ধিতার’ পরিচয় দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, “দেশবাসী এখন বিশ্বাস করে, জঙ্গি নির্মূলে সরকারের কোনো আন্তরিকতা নেই। যদি থাকতে, জঙ্গিদের হত্যা না করে উগ্রবাদের নাটের গুরুদের হদিস বের করতে সচেষ্ট হত।”
গত ২৬ জুলাই কল্যাণপুরের এক বাড়িতে অভিযানে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন পুলিশ সদস্যরা। পরদিন ভোরে সেখানে সোয়াটের বিশেষ অভিযানে নিহত হন নয় জঙ্গি।
এরপর কল্যাণপুরের নিহতরা আসলেই জঙ্গি ছিল কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বক্তব্য দেন বিএনপির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা, যার তীব্র সমালোচনা করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা।
বিএনপি জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার কথা বললেও আওয়ামী লীগের অভিযোগ, বিএনপি আসলে ‘জঙ্গিদের নিয়ে জাতীয় ঐক্য’ চায়।
এ বিষয়ে সরকারের অবস্থানের সমালোচনা করে নয়া পল্টনের সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম খান বলেন, “জঙ্গিবাদ নির্মূলে আমরা ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি নেওয়ার পক্ষে। আমরা মনে করি এটা একা কারও পক্ষে দমন করা সম্ভব না, এমনকি সরকারের একার পক্ষেও না। সেজন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা করছি।
“এই ঐক্য দলমত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্য। সেই ঐক্যে আমরা আওয়ামী লীগকে চাই। তারা যদি না আসে তাহলে কবির ভাষায়- ‘ডাক শুনে কেউ না আসে, একলা চলো রে’। আমরা আমাদের দায়িত্ব নিশ্চই পালন করব। ”
আওয়ামী লীগ সাড়া না দিলেও বিএনপির জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে জনগণের সাড়া মিলেছে বলে দাবি করেন স্থায়ী কমিটির এই নেতা।
এ বিষয়ে বিভিন্ন দলের সঙ্গে ‘আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠিক’ বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে নজরুল ইসলাম খান জানান।
সরকার বিরোধী দলের ওপর ‘অগণতান্ত্রিক দমননীতি’ চালাচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “সরকারের দৃষ্টি যেহেতু বিরোধী দলের দিকে, সেহেতু উগ্রবাদীরা নির্বিঘ্নে তাদের সহিংস কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে।”