মঙ্গলবার, ২ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » বিদেশিদের যাওয়ার খবরের ভিত্তি নেই: মেনন
বিদেশিদের যাওয়ার খবরের ভিত্তি নেই: মেনন
গুলশান হামলার পর বাংলাদেশ থেকে বিদেশিরা চলে যাচ্ছে এমন খবরের কোনো ভিত্তি নেই বলে দাবি করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
তিনি বলেছেন, “আমাদের দেশের পত্রপত্রিকা অনেক সময় বিভ্রান্ত করে। আজকে একটা হেডিং দেখছিলাম- ‘এদেশ থেকে বিদেশিরা চলে যাচ্ছে’। তবে বিমানবন্দরের গিয়ে খোঁজ নিয়ে এমন খবর জানা যায় না।”
গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশি হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশে থাকা বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের মধ্যে উদ্বেগের মধ্যে মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন মন্ত্রী।
ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে নয়জন ইতালীয় রয়েছেন, যাদের বেশিরভাগ বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ক্রেতা ছিলেন। নিহত সাত জাপানির মধ্যে ছয়জন ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পে কাজ করছিলেন।
ওই হামলার পর সম্প্রতি ঢাকায় জার্মান রাষ্ট্রদূত থমাস প্রিন্সকে উদ্ধৃত করে দেশটির সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দূতাবাসের দুজন কর্মী ছুটিতে দেশে যাওয়ার পর বাংলাদেশে আর না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এই প্রেক্ষাপটেই মন্ত্রী মেনন বলেন, বাংলাদেশ এখনও অন্য দেশের চেয়ে অনেক নিরাপদ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা রয়েছে সরকারের।
গুলশান হামলার আগে গত বছরের শেষ দিকে ঢাকায় এক ইতালীয় এবং রংপুরে এক জাপানিকে জঙ্গি কায়দায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এসব হত্যাকাণ্ডই বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের জন্য পরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে বলে মনে করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মেনন। তবে সে চেষ্টা সফল হয়নি বলেও তার দাবি
“আমরা ভাবলাম দেশে হয়ত বিদেশিদের আগমন বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু দেখলাম না, সেই সময়কালে (চেজারে তাভেল্লা ও কুনিও হোসি হত্যার পর) আগের বছরের চেয়ে ১০ হাজারের বেশি পর্যটক এসেছে।”
এবার আবার পর্যটন বর্ষ পালনের সময়ই জঙ্গি হামলার বিষয়টি তুলে ধরে মেনন বলেন, “আমি জানি এতে পর্যটনে বিরূপ প্রভাব পড়ে। কিন্তু আমি এটাও বলতে চাই, আমরা যদি সঠিকভাবে পর্যটনকে উপস্থাপন করতে পারি, তাহলে এই প্রভাবও কাটিয়ে উঠতে পারব।
“কেন পারব? কারণ এটা আমাদের সমস্যা না। এটা বৈশ্বিক সমস্যা। আমরা বিদেশিদের বলতে পারব, তোমরা আমাদের দেশে আসো। আমাদের দেশকে অন্য দেশের চেয়ে অনিরাপদ মনে করার কারণ নেই।”
রাজধানীর মহাখালীতে হোটেল অবকাশে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন ও বেইসক্যাম্প বাংলাদেশ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এই সমঝোতা চুক্তির মধ্য দিয়ে আগামী দুই বছর এক সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে পর্যটন খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে বলে অনুষ্ঠানে পর্যটন কর্পোরেশন ও বেসক্যাম্প কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অপরূপ চৌধুরী, বেইসক্যাম্প বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দন উপস্থিত ছিলেন।