শুক্রবার, ৫ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ | ব্রেকিং নিউজ » র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শোলাকিয়ায় হামলাকারী শফিউলসহ দুজন নিহত
র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শোলাকিয়ায় হামলাকারী শফিউলসহ দুজন নিহত
ডেস্কঃ শোলাকিয়ায় হামলার পর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দিনাজপুরের মাদ্রাসা ছাত্র শফিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।শোলাকিয়ায় হামলার পর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দিনাজপুরের মাদ্রাসা ছাত্র শফিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের পাশে পুলিশের উপর হামলাকারী শফিউল ইসলামসহ দুজন ময়মনসিংহে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
র্যাব বলছে, বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহের নান্দাইলে এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়।
আহত অবস্থায় দুজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তাদের মৃত্যু হয় বলে নান্দাইল থানার ওসি মো. আতাউর রহমান জানান। নিহত অপরজনের পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।
গত ১ জুলাই ঢাকার গুলশানে একটি ক্যাফেতে হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২২ জনকে হত্যার ছয় দিনের মাথায় ঈদের সকালে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদগাহের পাশে পুলিশের একটি তল্লাশি চৌকিতে হামলা হয়। হামলায় দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন। পরে পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের গোলাগুলিতে এক হামলাকারী ও এক গৃহবধূ নিহত হন।
ওই সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দিনাজপুরের মাদ্রাসা ছাত্র শফিউল ইসলাম ওরফে শরীফুল ইসলাম ওরফে সাইফুল ইসলাম ওরফে আবু মোকাদ্দেল ওরফে সোহানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে র্যাব হেফাজতে ময়মনসিংহ মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।
র্যাব কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওসি আতাউর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার শফিউলকে ছেড়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর কিশোরগঞ্জ পুলিশের কাছে তাকে নিয়ে যেতে বেরোয় র্যাব।
র্যাবের গাড়ি রাত সোয়া ১১টার দিকে নান্দাইলের ডাঙ্গি গ্রামে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে পৌঁছালে তাদের লক্ষ্য করে বোমা হামলা ও গুলিবর্ষণ করা হয়।এ সময় র্যাব-১৪ এর সদস্যদের সঙ্গে হামলাকারীদের গোলাগুলিতে শফিউলসহ দুজন গুলিবিদ্ধ হন।
এ ঘটনায় র্যাবের তিন সদস্যও আহত হয়েছেন দাবি করে র্যাব সদরদপ্তরের এক এসএমএসে বলা হয়, ঘটনাস্থল থেকে দুটি মটরসাইকেল, আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে র্যাবের এক কর্মকর্তা জানান, তিনটি পিস্তল, চারটি চাপাতি, একটা কাটার, একটি হাতুড়ি ও একটি ব্যাগ উদ্ধার করেছেন তারা।
এর আগে ২০১৪ সালে ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে এক পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যা করে জেএমবি নেতা সালাউদ্দিন সালেহীন সানি এবং রাকিবুল হাসান হাফেজ মাহমুদ ও জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজানকে ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা। পরে রাকিবুল পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
শফিউলের (২২) বাড়ি দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাটে। দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার বিজুল দারুল হুদা কামিল মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন তিনি।
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের গৌড়ীয় মঠের অধ্যক্ষ যজ্ঞেশ্বর রায় হত্যাকাণ্ডে গত ২৮ জুন পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে জেএমবি সদস্য হিসেবে এই শফিউলের নাম রয়েছে।
এছাড়াও ওই ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে করা অন্য মামলায়ও শফিউল আসামি ছিলেন।
শফিউলকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব জানিয়েছিল, আলিম পরীক্ষা শেষ না করেই ‘ওস্তাদের নির্দেশে অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে’ কিশোরগঞ্জে এসেছিলেন তিনি।