বিধ্বস্ত বিমান উদ্ধারে সাগরে ‘বিশাল অভিযান’
পক্ষকাল আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এয়ার এশিয়ার নিখোঁজ বিমানটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়ার পর উদ্ধার কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জাভা সাগর থেকে বিমানের তিন যাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি যাত্রীদের খোঁজে সাগরে ‘বিশাল অনুসন্ধান’ অভিযানে নামছে উদ্ধার দল।
বোর্নোর জলভা-ারে বিমানের ধ্বংসাবশেষ ও মরদেহ ভাসার কথা নিশ্চিত করেছেন ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার তিন মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছেও বলে জানান তারা।
এয়ার এশিয়ার কিউজেড-৮৫০১ ফ্লাইটটি ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার সময় রোববার সকালে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ঠিক আগে বিমানটির চালক খারাপ আবহাওয়া এড়াতে আরো ওপর দিয়ে ওড়ার অনুমতি চেয়েছিলেন। তবে ‘এয়ার ট্রাফিকের’ অনুমতি পাননি তিনি।
বিমানটিতে সাতজন ক্রু ও ১৫৫ যাত্রী মিলিয়ে মোট ১৬২ জন আরোহী ছিলেন। এদের মধ্যে দুই পাইলট, পাঁচজন ক্রেবিন ক্রু ছাড়া ১৪৯ জন যাত্রীই ইন্দোনেশিয়ান। বাকি ছয়জনের মধ্যে তিনজন দ.কোরিয়ান, একজন মালয়েশিয়ান, একজন সিঙ্গাপুরিয়ান ও একজন ফরাসি।
বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার পর অর্ধশতাধিক বিমান ও জাহাজ দিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম আগেই শুরু করেছিলেন ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুর। পরে উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াও। উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া বিমান ও জাহাজের ক্রুরা মরদেহ ও বিমানের ধ্বংসাবশেষের সন্ধানে সাগরের পানি স্ক্যান করে দেখছেন। বিমানটির ব্ল্যাক বক্সের সন্ধানে আধুনিক যন্ত্রপাতি পাঠিয়েছে সিঙ্গাপুর।
মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো জাহাজ ও হেলিকপ্টার দিয়ে বিশাল অভিযানের কথা জানিয়েছেন। সুরাবায়ায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এই ট্র্যাজেডিতে হারানোদের আমিও অনুভব করি। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের শক্তি ধারণে আমি তাদের সবার জন্য প্রার্থনা করি। বিধ্বস্ত বিমানটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারে হেলিকপ্টার ও জাহাজ দিয়ে বিশাল অনুসন্ধান অভিযান শিগগিরই চালানো হবে।’
বার্তা সংস্থা এপিকে উইদোদো বলেন, ‘বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে আমি তা নিশ্চিত। কিন্তু আমি বিশ্বাস করতে পারি না, আমার ভাই ও তাদের পরিবারের সদস্যরা মারা গেছেন।’
দেশটির কর্মকর্তারা জানান, ফ্লাইট কিউজেড ৮৫০১ গতিপথ পরিবর্তনের অনুমতি চাওয়ার পাঁচ মিনিট পরই কোনো সিগন্যাল ছাড়াই জাভা সাগরের ওপর আকাশে নিখোঁজ হয়ে যায়। ইন্দোনেশিয়ার তল্লাশি অভিযানের প্রধান জানিয়েছেন, উদ্ধারকারীরা চিহ্নিত হওয়া লাশগুলো উদ্ধারে এখন খুবই ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এদিকে নিহতের স্বজনেরা সুরাবায়া বিমান বন্দরে এখনো ভিড় করে আছে। জীবিত না হলেও অন্তত স্বজনের মরদেহটি চান তারা।
তথ্যসূত্র : বিবিসি, ফক্স নেশন ।