মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » ৪ নারী জঙ্গির ৩ জনই ‘জামায়াত পরিচালিত’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী
৪ নারী জঙ্গির ৩ জনই ‘জামায়াত পরিচালিত’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী
পক্ষকাল সংবাদঃ
র্যাবের অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ‘জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ’এর (জেএমবি) চার নারী জঙ্গির তিনজন আকলিমা রহমান, মৌ ও মেঘলা বেসরকারি ‘মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র শিক্ষার্থী। জামায়াত সংশ্লিষ্টরা বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালনা করেন বলে অভিযোগ আছে।
এছাড়া ঐশী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন। র্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
র্যাব জানায়, রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে গাজীপুরের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে আকলিমাকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার সকাল ৮টায় রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ঐশীকে। আর মেঘলা ও মৌকে গ্রেফতার করা হয় মিরপুর-১ এলাকা থেকে। প্রত্যেকের কাছেই জিহাদি কার্যক্রমের নথিপত্র পাওয়া গেছে।
র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রী আকলিমা বিভিন্ন সময় জেএমবির দাওয়াতি কার্যক্রমে যোগ দিতে প্ররোচনা দিয়ে আসছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ‘নতুন ধারার’ জঙ্গিবাদে উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাঁর ওপর নজরদারির ধারাবাহিকতায় র্যাব-৪-এর একটি দল গতকাল দিবাগত রাত দুইটার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁর মুঠোফোনে জঙ্গিবাদ ও বিপুল পরিমাণ অন্যান্য তথ্য পাওয়া যায়। দেড় বছর ধরে তিনি এই জিহাদি দলের সঙ্গে রয়েছেন। মাহমুদুল হাসানের কাছ থেকে বাইয়াত গ্রহণের পর তাঁর সংশ্লিষ্টতা আরও বেড়ে যায়।
র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আকলিমার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মগবাজার থেকে ঐশী নামের আরেক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে ল্যাপটপ জব্দ করে এতে বিপুল পরিমাণ জিহাদি-বিষয়ক তথ্য, ম্যাগাজিন, লেকচার ভিডিওর সফট কপি পাওয়া গেছে। মিরপুর-১-এর জনতা হাউজিংয়ে অভিযান চালিয়ে মৌ নামের আরেক নারীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। র্যাব তাঁর বাসায় প্রবেশের আগেই তিনি মুঠোফোনের মেমোরি কার্ড ধ্বংস করে ফেলেন। পরে র্যাব তাঁর বাসায় তল্লাশি চালিয় জিহাদি চেতনামূলক বই উদ্ধার করে।
র্যাবের তথ্যমতে, আকলিমা ও মৌয়ের দাওয়াতে সাড়া দিয়ে মেঘলা নামের অপর একজন নারী জিহাদি দলে ভেড়েন। তাঁকেও গতকাল রাত ১০টার দিকে মিরপুরের জনতা হাউজিংয়ের সাবলেট বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। অন্যদের মতো তাঁর কাছ থেকেও একই ধরনের জিহাদি বই, বক্তৃতা ও জিহাদি ভিডিও এবং নির্দেশনার সফট কপি পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই গাজীপুর থেকে জেএমবির দক্ষিণাঞ্চলের আমির মো. মাহমুদুল হাসান(২৭) কে গ্রেফতারের সূত্র ধরে আকলিমা নামের এক নারীকে রবিবার গভীর রাতে গাজীপুরের সাইনবোর্ড এলাকার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তার মোবাইল ফোনে জঙ্গিবাদ ও জিহাদ-সংক্রান্ত বিপুল তথ্য পাওয়া গেছে। আকলিমা দেড় বছর ধরে জিহাদি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। তিনি প্রথমে অন্যান্য নারীদের দাওয়াত দেন এবং ইয়ানত সংগ্রহ করেন বলেও দাবি করেছে র্যাব। তার বিরুদ্ধে জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।