বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪
প্রথম পাতা » » যাত্রী পোড়ানোর উস্কানিদাতা হিসেবে খালেদার বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত : তথ্যমন্ত্রি
যাত্রী পোড়ানোর উস্কানিদাতা হিসেবে খালেদার বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত : তথ্যমন্ত্রি
পক্ষকাল প্রতিবেদক : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, পাইপের ভেতরে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় যদি ঠিকাদার ও প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়, তবে শিক্ষিকা হত্যা ও যাত্রী পোড়ানোর উস্কানিদাতা ও জঙ্গি-পৃষ্ঠপোষক বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধেও মামলা হওয়া উচিত।
তিনি গতকাল বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) এর বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
রাজনৈতিক অপরাধীকেও আইনের আওতায় আনতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘একাত্তরে গণহত্যা ও নারী নির্যাতন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যা, জিয়ার আমলে কর্ণেল তাহের হত্যা, একুশে আগষ্ট শেখ হাসিনার ওপর গেনেড হামলা, মন্দির-মসজিদ-মঠে অগ্নিসংযোগ, মাজার-দরগায় আগুন দেয়ার ঘটনা বাংলাদেশ দেখেছে। এসবই রাজনৈতিক কারণে সংঘটিত জঘন্য অপরাধ।’
বেগম জিয়া রাজনৈতিক কারণে নাশকতা-অন্তর্ঘাত, চলন্ত ট্রেনের ফিসপ্লে¬ট খুলে ঘুমন্ত যাত্রী হত্যা এবং চলন্ত বাসে আগুনবোমা দিয়ে যাত্রী পোড়ানোর দায় থেকে মুক্তি পাবেন না উল্লেখ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দায়মুক্তির খারাপ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসছে।
এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেছেন, অপরাধের বিচার দল দেখে বা মুখ দেখে করা হবে না। গণতন্ত্রকে যদি অর্থবহ করতে হয়, তবে দল দেখে, মুখ দেখে অপরাধীকে দায়মুক্তি দেয়ার অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য পুলিশ এবং গণমাধ্যমসহ সবাইকে কাজ করতে হবে।’
তিনি গণমাধ্যম ও পুলিশ প্রশাসনকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সহযোদ্ধা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ক্র্যাব এবং পুলিশের সমন্বিত প্রচেষ্টা সমাজকে অপরাধমুক্ত থাকতে সাহায্য করবে।
ক্র্যাব সভাপতি আখতারুজ্জামান লাবলু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে পুলিশ মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ বক্তৃতা করেন।
এ সময় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বক্তৃতা করেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ আকন্দ সভা পরিচালনা করেন। অনুসন্ধানী ক্রাইম রিপোর্ট প্রকাশের জন্য অনুষ্ঠানে ক্র্যাবের পক্ষ থেকে ৫ জন সাংবাদিককে পুরস্কৃত করা হয়। দুর্নীতিবিষয়ক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য ঢাকা ট্রিবিউনের মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল, নারী ও শিশু বিষয়ে আমাদের সময়ের শাহজাহান আকন্দ শুভ, মানবাধিকার বিষয়ে ভোরের কাগজের আসলাম রহমান, মাদকদ্রব্য বিষয়ক অনুসন্ধানের জন্য প্রথম আলো’র কাজী আনিস এবং অপরাধ বিষয়ক টিভি রিপোর্টিংয়ের জন্য এনটিভি’র শফিক শাহীন পুরস্কৃত হন।