বুধবার, ৩১ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » » জানাযার পর মিরপুরের পথে কবির মরদেহ
জানাযার পর মিরপুরের পথে কবির মরদেহ
পক্ষকাল সংবাদঃ বাংলা কবিতার জনপ্রিয় কবি শহীদ কাদরীর মরদেহ দাফনের জন্য মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বুধবার বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। তারপর চির বিদায়ের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কবিকে।
এর আগে সকাল সোয়া ১১ টা থেকে ভক্তদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় শেষ বারের মতো সিক্ত হন কবি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন ও বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল। এরপর একে একে বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, জাতীয় কবিতা পরিষদ, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিগতভাবে কবি, কবিতানুরাগী, সাংস্কৃতিক কর্মী, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। লাইন দিয়ে সারিবদ্ধভাবে সবাই শেষবারের মতো প্রিয় কবির মুখটি দেখেন। সর্বস্তরের মানুষ তাকে শ্রদ্ধা জানানোর পর ঢাবি মসজিদে নিয়ে যাওয়া হয় তার মরদেহ।
এর আগে সকাল ৮ টা ৪৫ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় শহীদ কাদরীর মরদেহ। এরপর তার মরদেহ ভাইয়ের ক্যান্টনমেন্টের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে নেয়া হয় শহীদ মিনারে।
জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি ড. মুহাম্মদ সামাদ জানান, বুধবার সকাল ৮টা ৪৫মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় শহীদ কাদরীর মরদেহ। এরপর তার মরদেহ ভাইয়ের ক্যান্টনমেন্টের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে নেয়া হয় শহীদ মিনারে। কবিকে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এর আগে বুধবার ভোরে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে কবির স্ত্রী নীরা কাদরী, পুত্র আদনান কাদরী এবং পারিবারিক বন্ধু সাবিনা হাই উর্বি ঢাকায় পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাদের সঙ্গে কবির মরদেহ গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের প্রতিনিধিরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
২৮ আগস্ট সকালে লং আইল্যান্ড এলাকার নর্থ শোর বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে কবি শহীদ কাদরী (৭৪) শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনির জটিল সমস্যায় ভুগছিলেন। এছাড়াও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
গত ২০ আগস্ট থেকে নিউইয়র্কের জ্যামাইকার বাসায় কবির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ২১ আগস্ট তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিকে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও রোববার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা সাহিত্যে অনেক শ্রেষ্ঠ কবিতার স্রষ্টা শহীদ কাদরী। ১৯৭৩ সালে বাংলা একাডেমি ও ২০১১ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন এ কবি।