বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » রাজনীতি | সম্পাদক বলছি » একাত্তরের ঘাতকদের বিচারে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে
একাত্তরের ঘাতকদের বিচারে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে
পক্ষকাল ওয়েবঃ একান্তরে ঘাতকদের বিচারে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্ট।পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বাংলাদেশ সফরে যাওয়ায় নিউইয়র্কসহ আমেরিকায় বসবাসরত জামাত-শিবিরসহ একাত্তরের আলবদর বাহিনীর সমর্থকরা উল্লাস করেছে। একাত্তরের ঘাতক মীর কাশেম আলীর মৃত্যুদণ্ড রহিত এবং অবিলম্বে মধ্যবর্তী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে বাধ্য করতে কেরির এ সফর বলে উল্লেখ করেন তারা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এনআরবি নিউজের পক্ষ থেকে মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে প্রদত্ত রায় এবং জন কেরির ঢাকা সফরের প্রধান ইস্যু কি তা জানতে চাওয়া হয় স্টেট ডিপার্টমেন্টে। ৩০ আগস্ট সোমবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন মুখপাত্র ই-মেইলে এনআরবি নিউজকে জানান, “১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা জঘন্য অপরাধ করেছে তাদের জবাবদিহিতায় আনার প্রক্রিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে।”
স্টেট ডিপার্টমেন্ট উল্লেখ করেছে, “তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) এর বিচার অবাধ, সুষ্ঠু, ন্যায়-নিষ্ঠ, স্বচ্ছ এবং আন্তর্জাতিক সনদের পরিপূরক হতে হবে, যা করতে ইতোপূর্বে বাংলাদেশ সম্মতি দিয়েছে।”আইসিটির দেওয়া রায় কার্যকর করতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে কিনা সে প্রসঙ্গে মুখপাত্র উল্লেখ করেন, “মুক্তিযুদ্ধে যারা মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে তাদের বিচারে আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তবে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে বিচার প্রক্রিয়ায়, যা বাংলাদেশের সম্মতি অনুযায়ী আন্তর্জাতিক রীতির পরিপূরক নয়। এ ব্যাপারে আমরা আমাদের উদ্বেগের কথা বাংলাদেশ সরকারের কাছে উত্থাপন করেছি।”
মীর কাশেম আলীর মৃত্যুদণ্ড স্থগিত হোক -এটি যুক্তরাষ্ট্র চায় কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, “বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশের আপামর জনতা ১৯৭১ সালের অপরাধের বিষয়গুলোর নিস্পত্তি কেন করতে চাচ্ছেন সেটি আমরা বুঝি।”স্টেট ডিপার্টমেন্ট উল্লেখ করেছে, “স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিতামূলক বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে যে প্রশ্নের অবতারণা করা হচ্ছে সে ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ অবলম্বন করার পরই আইসিটি প্রদত্ত রায় কার্যকর করা উচিত। এ ইস্যুর চিরসমাপ্তি ঘটাতে তা করা খুবই প্রয়োজন।”
৩০ আগস্ট স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংকালে জনৈক সংবাদদাতা জন কেরির ঢাকা সফরের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চেয়েছিলেন। জবাবে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, “আমি আপনাকে বলবো, দ্বিপক্ষীয় ওই বৈঠক নিয়ে ডেপুটি মুখপাত্র মার্ক টোনার বিবৃতি দিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেরি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এগুলোর প্রতিলিপি আপনাকে পড়ে দেখতে বলবো। তাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে বলা আছে। তবু আমি বলবো, তারা সন্ত্রাস বিরোধী লড়াই নিয়ে কথা বলেছেন। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কথা বলেছেন। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারে বাংলাদেশের অগ্রগতি নিয়ে কথা বলেছেন। আমাদের প্রত্যাশা সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে পরিষ্কার করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কাজেই বিস্তৃত পরিসরে আলোচনা হয়েছে। আবারও আমি আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইট দেখতে বলবো। সেখানে বাংলাদেশের সঙ্গে যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা রয়েছে।”