মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর | ব্রেকিং নিউজ » জেসি-এসির ভয় দেখিয়ে হয়রানীর অভিযোগ বেনাপোল কাস্টমস পরীক্ষণ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আঃ কুদ্দুসের বিরুদ্ধে
জেসি-এসির ভয় দেখিয়ে হয়রানীর অভিযোগ বেনাপোল কাস্টমস পরীক্ষণ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আঃ কুদ্দুসের বিরুদ্ধে
আমিনুর রহমান তুহিনঃ
বেনাপোল প্রতিনিধিঃ বেনাপোল কাস্টমস হাউজের পরীক্ষণঃ০৪ গ্রুপ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে আমদানিকৃত পণ্য পরীক্ষণের নামে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে।
> সূত্রে জানা যায়, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা কুদ্দুস কাস্টমসের জেসি-এসির ভয় দেখিয়ে হয়রাণী করছে আমদানিকৃত পণ্য পরীক্ষণ করতে আসা সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীদের। আমদানিকৃত পণ্য কায়িক পরীক্ষার সময় তিনি হয়রানী মূলক ভাবে সমস্ত পণ্য প্যাকেজ খুলে ছড়িয়ে ফেলছেন। এমনকি শেডের বাইরে থাকা পণ্য পরীক্ষনের সময় সব প্যাকেজ খুলে বৃষ্টি-কাদার মধ্যে ফেলে দিচ্ছেন। কোন সিএন্ডএফ কর্মচারী এহেন ভাবে পরীক্ষনের কারণ জিজ্ঞাসা করলে, তিনি তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে থাকেন। আর ভয় দেখিয়ে বলেন, আপনার মালে অনেক সমস্যা আছে। ইনভয়েস-প্যাকিংলিস্টের ও ক্যাটালকের সাথে আপনার পণ্যের কোন মিল নেই। জেসি-এসিকে জানানো হবে। এ মাল পরীক্ষণ হবে না। এভাবে ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন তিনি। আর আদায় করেন অতিরিক্ত টাকা।
> এ বিষয়ে সিএন্ডএফ কর্মচারী জয়নাল বলেন, পরীক্ষণের নামে কুদ্দুস স্যার যা শুরু করেছেন তাতে কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। আমদানিকৃত পণ্য তিনি যেভাবে খুলে ছড়িয়ে ফেলছেন তাতে আমরা কাজ করবো কিভাবে। পণ্য খুলার পরে, সেই পণ্য খুলার দরুন এক লেবার বিলই দিতে হচ্ছে ৫শ থেকে ৭শ টাকা। সে লেবার বিলের কথা অফিসে গিয়ে বললে নিজেদেরই অফিস মালিকের কাছে চোর হয়ে যেতে হয়। তারপর আগে যেখানে পরীক্ষণের সময় অফিসারের দিতে হত ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা, সেখানে কুদ্দুস স্যার জেসি-এসির ভয় দেখিয়ে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা দাবি করছেন। এক পরীক্ষণেই যদি এত টাকা দিতে হয়, তাহলে কাজ করবো কিভাবে। এমনিতেই বেনাপোল বন্দরের অবস্থা খুবই নাজুক।
> জানা যায়, যদি কোন সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা কুদ্দুসের বিরুদ্ধে উদ্ধর্তন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করার কথা বললে, তিনি তাদের গালাগালি করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করবেন যান করেন। আমার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করে কোন লাভ নাই। এর আগে আমার নামে ৬ টি কেস আছে। আমি কাউকে ভয় করিনা।
> এহেন কার্যকলাপে সাধারণ সিএন্ডএফ মালিকরা বলেন, একেই বেনাপোল বন্দর দিয়ে কাজ অনেক কমে গেছে। সরকারী রাজস্বের টার্গেট পূরণ হচ্ছেনা। তারপর কুদ্দুস স্যারের মত অফিসার থাকলে কাজ করা বড়ই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তার ডিমান্ড মিটিয়ে কাজ করতে গেলে সে কাজও আমাদের মত ছোট ছোট সিএন্ডএফ এজেন্টদের হারাতে হবে। যা কাজ করে খাচ্ছি তাও বুঝি হবেনা। তারা এহেন অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ জানান।