লঞ্চডুবি: এখনও ২৫ জন নিখোঁজ
পক্ষকাল ডেস্কঃ
বরিশালের বানারীপাড়ায় সন্ধ্যা নদীতে লঞ্চডুবিতে অন্তত ২৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।বুধবার দুপুরে উপজেলার দাশেরহাটের মসজিদবাড়ি ঘাটে যাত্রী উঠানোর সময় লঞ্চটি ডুবে যাওয়ার পর সন্ধ্যা নাগাদ ১৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।এরপর আরও ঘণ্টা দুয়েক ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার অভিযান চালালেও কেউ উদ্ধার হননি।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বরিশাল নৌ পুলিশের সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট মোতালেব হোসেন জানান, আলো স্বল্পতার কারণে রাত ৮টার পর থেকে উদ্ধার কাজ স্থগিত রাখা হয়।উদ্ধারকারী জাহাজ ‘নির্ভীক’ বরিশাল থেকে যাত্রা করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে তারা উদ্ধার কাজ শুরু করবে।ওই জাহাজে থাকা বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও পরিচালন বিভাগের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিকাল ৫টার দিকে আমাদের জাহাজ বানারীপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। কোনো সমস্যা না হলে বৃহস্পতিবার ভোরে সেখানে পৌঁছাব।”
বেলা ১২টার দিকে বানারীপাড়া থেকে ‘এমএল ঐশী’ নামের একটি লঞ্চ উজিরপুর যাওয়ার পথে সন্ধ্যা নদীর দাশেরহাটের মসজিদবাড়ি ঘাটে যাত্রী ওঠানোর সময় ডুবে যায়।
নিখোঁজদের সন্ধান ও লঞ্চ শনাক্তের চেষ্টা করছেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ও স্থানীয়রা
নিখোঁজদের সন্ধান ও লঞ্চ শনাক্তের চেষ্টা করছেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ও স্থানীয়রা
পুলিশ কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন বলেন, এ পর্যন্ত ১৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ২৫ জন।
নিহতরা হলেন- সুকদেব (৪০), রাজ্জাক হাওলাদার (৬০), শান্তা আক্তার (১০), ফিরোজা বেগম (৫০), কোহিনূর বেগম (৪৫), রেহেনা বেগম (৩০), সালেহা বেগম (৬০), সাগর (২৫), মোজাম্মেল মোল্লা (৬০), রাবেয়া বেগম (৪৫), জয়নাল হাওলাদার (৫৮), মিলন ঘরামী (৪০) ও হীরা বেগম (২৫)।
একটি ট্রলারের কাঠামো পাল্টে এই লঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল বলে বিআইডব্লিউটিএ এর বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান।
এ ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনকে প্রধান করে নয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে বরিশালের জেলা প্রশাসক কাজী মো. সাইফুজ্জামান জানিয়েছেন।
কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।