খবর
সমগ্র বাংলাদেশ
ক্লাসিফাইডস
মতামত
খেলা
ইনুকে মশাল দেওয়া কেন কর্তৃত্ব বহির্ভূত নয়: হাই কোর্ট
ডেস্কঃ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) হাসানুল হক ইনু নেতৃত্বাধীন অংশকে মশাল প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
অপর অংশের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধানের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই রুল জারি করে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব এবং হাসানুল হক ইনুকে এই রুলের জবাব দিতে ৪ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহদীন মালিক। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী জহিরুল আলম বাবর। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
গত ১২ মার্চ সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে শিরীন আখতারকে সাধারণ সম্পাদক করা নিয়ে দুই ভাগ হয় জাসদ। হাসানুল হক ইনু ও শিরীনের কমিটির পাশাপাশি পাল্টা কমিটি গঠন করেন দলের জ্যেষ্ঠ্য তিন নেতা মইনুদ্দিন খান বাদল, শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধান ও তাদের অনুসারীরা।
জাসদের প্রতীক মশাল
জাসদের প্রতীক মশাল
এরপর দুই অংশই নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে নিজেদের ‘মূলধারা’ দাবি করে তাদের অনুকূলে জাসদের মশাল প্রতীক বরাদ্দ চায়।
দুই পক্ষের এই পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে ১৩ এপ্রিল ইনু-শিরীন নেতৃত্বাধীন জাসদকে মূলধারা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ২৮ এপ্রিল তাদেরকে মশাল প্রতীক দেয় নির্বাচন কমিশন।
এরপর একাংশের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান ১২ মে নির্বাচন কমিশনের রিভিউ আবেদন করেন। রিভিউ নিষ্পত্তি ঝুলে থাকায় তারা হাই কোর্টে আসেন।
গত ২২ জুন হাই কোর্ট এক আদেশে ওই রিভিউ নিষ্পত্তি করতে কমিশনকে নির্দেশ দেয়। কমিশন গত ১০ অগাস্ট রিভিউ নিষ্পত্তি করে পূর্বের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে।
এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নাজমুল হক প্রধান গত ২৬ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন করেন।
আদেশের পর জহিরুল আলম বাবর সাংবাদিকদের বলেন, “রিভিউ শুনানির ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন বাদল-আম্বিয়া পক্ষকে না ডেকে নির্বাচন কমিশন এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যেটি আইনসম্মত হয়নি। সে কারণে আমরা রিট আবেদন করেছি। আদালত শুনানির পর রুল দিয়েছে।”