বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিলেন জিয়া; প্রধানমন্ত্রী
হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিলেন জিয়া; প্রধানমন্ত্রী
পক্ষকাল ডেস্ক
হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিলেন জিয়া; প্রধানমন্ত্রী
প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘প্রবাসীদের কাছে আমার অনেক ঋণ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দেশে ফেরার প্রাক্কালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রায় একশ প্রবাসী আমার সঙ্গে দেশে গিয়েছিলেন। প্রবাসীদের সাহসী ভূমিকায় আজও আমি বেঁচে আছি। এখনও আল্লাহর রহমতে দেশের সেবা করে যাচ্ছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার ‘টাইসন কর্নার’এর রিটজ কার্লটন হোটেল বলরুমে বুধবার বিকাল তিনটায় (স্থানীয় সময়) এক
মতবিনিময় সভায় এসব বলেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহত্তর ওয়াশিংটন প্রবাসী বাংলাদেশিদের সৌজন্যে এই সভার আয়োজন করা হয়। তবে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুর কারণে সভায় তেমন কোনও আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের কেক কাটার কথা থাকলেও তা বাতিল করা হয়। এ ছাড়া ওয়াশিংটনে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠকের কথা থাকলেও তা করেননি প্রধানমন্ত্রী।
সভায় প্রায় ৫০ মিনিট বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তাতে জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধুর খুনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেছিলেন। আর যতদিন ক্ষমতায় ছিলেন, ততদিন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমেই ছিলেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। অপরাধীদের বিচার হচ্ছে। জাতির জনকের হত্যার বিচার হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। জাতীয় চারনেতা হত্যার বিচারসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার আইনি প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হবে। স্বাধীন বাংলায় দেশ-বিরোধীদের ঠাঁই হবে না।’
ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে সরকার যুগান্তকারী অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশের তৃণমূল পর্যায়ে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি সেবা পৌঁছে দেওয়ার অভিপ্রায়ে ৪৫৫০টি ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপন করা হয়েছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার। তৈরি করা হয়েছে বিশ্বের অন্যতম বিশাল ন্যাশনাল ওয়েব পোর্টাল। কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত এ পোর্টালের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। দেশের সবগুলো উপজেলাকে আনা হয়েছে ইন্টারনেটের আওতায়। টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা ১২ কোটি ৩৭ লাখ এবং ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৬ লাখ।’
বিদ্যুৎ খাতে আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জনের মধ্যে রয়েছে জাতীয় গ্রিডে অতিরিক্ত ৬ হাজার ৩২৩ মেগাওয়াট বিদ্যুত সংযোজন, যার ফলে বিদ্যুতের সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সেই সঙ্গে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ২২০ কিলোওয়াট ঘণ্টা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪৮ কিলোওয়াটে। নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে ৩৫ লাখ গ্রাহককে। নির্মাণ করা হয়েছে নতুন ৬৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্র।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাখাতে সাফল্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘শিক্ষাকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে সরকার শতভাগ ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। নারীশিক্ষা এগিয়ে নিতে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত চালু করা হয়েছে উপবৃত্তি ব্যবস্থা। গরিব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রণয়ন করা হয়েছে শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আইন।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছি। তাই পরিবারে তেমন সময় দেওয়া হয় না। ওয়াশিংটনে বসেও প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা করে অফিস করে দেশের জরুরি কাজ করেছি। বাংলাদেশকে জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার সংকল্পে ঝাঁপিয়ে পড়েছি। আমার আর কোনও চাওয়া-পাওয়া নেই। শুধু একটাই আশা, দেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করা। এ ব্যাপারে আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করি।’