বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ | রাজনীতি | সম্পাদক বলছি » ভারতে হামলা করতে বাংলাদেশি জঙ্গিদের সহায়তা দিচ্ছে চীন ও পাকিস্তান
ভারতে হামলা করতে বাংলাদেশি জঙ্গিদের সহায়তা দিচ্ছে চীন ও পাকিস্তান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর পূর্ব ভারতে নাশকতা চালাতে ইসলামাবাদ ও বেইজিং থেকে সাহায্য পাচ্ছে বাংলাদেশের জঙ্গিরা। অর্থ সাহায্যের সঙ্গে অস্ত্র দিয়েও সাহায্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি জঙ্গিদের।
বাংলাদেশ পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনী ২০ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জ থেকে চার জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। এ চারজনই জেএমবি এবং শাহাদা-ই-আল-হিকমা যৌথ বাহিনীর ক্যাডার। জঙ্গিদের জেরা করার পরই বাংলাদেশ পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনী জানতে পারে নাশকতার ছক সম্পর্কে।
বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলে দূর্গাপূজা পালন করা হয় জাঁকজমকপূর্ণভাবে। সিরাজগঞ্জের জঙ্গিদের জেরা করে জানা যায় এ পূজায় হতে পারে বড় ধরনের হামলা।
আইএস সাহায্যপ্রাপ্ত জঙ্গি সংগঠন শাহাদাত-ই-আল-হিকমা ও জেএমবি এক হয়ে যায় গত জুলাই মাসের শেষে। এরপরই বড় নাশকতা চালানোর দায়িত্ব ‘শাহাদাত-ই-আল-হিকমা’ নিজের কাঁদে নিয়ে নেয়। এ নতুন সংগঠনের ব্যানারেই এখন থেকে কাজ হবে।
জেরায় সিরাজগঞ্জের জঙ্গিরা স্বীকার করে তারা উগ্রপন্থায় প্রশিক্ষণ নিয়েছে করাচির গোপন আস্তানায়। ওই ক্যাম্পে তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে লস্কর-ই-তৈয়বার প্রশিক্ষকরা। কেমন করে বড় বিস্ফোরণ ঘটনো যায় খুব কম সময়ে তা শেখানো হয়েছে। শেখানো হয়েছে নানা ধরনের অস্ত্র চালানোর কৌশলও। তবে আটককৃত জঙ্গিদের কাছে ছোট-খাট আগ্নেয়াস্ত্র, ছোরা ছাড়া অন্য কিছু মেলেনি। মূলত অস্ত্র ছাড়াই ভারতে ঢোকার ছক ছিল তাদের।
আসাম ছাড়া মেঘালয়, অরুনাচল প্রদেশ, মনিপুরে হামলা চালানোর ছক ছিল বাংলাদেশি জঙ্গিদের। বিশেষ করে আসামের বরপেটা, ধুবড়ি, নগাঁও, বিলাসিপাড়া ও বরাক উপত্যকায় রয়েছে তাদের সদস্যরা। এদের সাহায্য নিয়েই ভারতে নাশকতা চালানোর ছক রয়েছে বাংলাদেশি জঙ্গিদের। এ কথা জানতে পেরেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গোয়েন্দা শাখাও। খবর পাওয়া মাত্রই বিএসএফ তা ফরোয়ার্ড করেছে দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে।
কাছাড়ে লুকিয়ে থেকে জেএমবির আসাম এলাকার চিফ জাবিরুল ইসলাম গ্রেফতার হওয়ার পর যখন চলছে নানাভাবে পুলিশি তল্লাশী তখন নিঃসন্দেহে শঙ্কা জাগাতে পারে বাংলাদেশি জঙ্গি বাহিনীর পূজার সময় নাশকতা চালানোর ছক।
বাংলাদেশি জঙ্গিরা যে পুজোর সময়কেই টার্গেট করে নাশকতা চালাতে পারে, তা মাথায় রেখে পালটা ছক কষছেন ভারতীয় গোয়েন্দারাও। বিশেষ করে বাংলাদেশি জঙ্গি গোষ্ঠির হামলাকে রুখে দিতে যে তৎপর ভারতীয় পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনী তা স্পস্ট।
বিশেষ করে পশ্চিমবাংলা, আসামের ক্ষেত্রে বিশেষ দৃষ্টি রাখা হবে দূর্গাপূজাতে এমন ইঙ্গিতই মিলেছে কেন্দ্রী গোয়েন্দা তরফে।