শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Daily Pokkhokal
রবিবার, ২ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » বিশ্ব সংবাদ | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » সন্ত্রাসের স্পন্সর পাকিস্তান, বিপুল সমর্থন আমেরিকায়
প্রথম পাতা » বিশ্ব সংবাদ | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » সন্ত্রাসের স্পন্সর পাকিস্তান, বিপুল সমর্থন আমেরিকায়
২৭৬ বার পঠিত
রবিবার, ২ অক্টোবর ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সন্ত্রাসের স্পন্সর পাকিস্তান, বিপুল সমর্থন আমেরিকায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
---
বেশি বাড়াবাড়ি করলে ‘দাদা’রও বিরক্তি লাগে! ‘দাদা’কেও যে কৈফিয়ত দিতে হয়, পাকিস্তানের মদতে লাগাতার সন্ত্রাসের জন্য! তাই মার্কিন প্রশাসনে বহু দিনের পাক ‘মৌরসি পাট্টা’র দিন কি এবার শেষ হয়ে এল?

‘পাকিস্তান কি সন্ত্রাসের মদতদাতা রাষ্ট্র?’, অনলাইনে এই প্রশ্নটা ছুড়ে দিয়েছিল হোয়াইট হাউস। তাতে অন্তত পাঁচ লক্ষ মার্কিন নাগরিক স্বাক্ষর করে জানিয়েছেন, হ্যাঁ, তাঁরা পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসের মদতদাতা রাষ্ট্র’ বলেই মনে করেন। হোয়াইট হাউসের পাঠানো কোনও প্রশ্নে মার্কিন নাগরিকদের এই ব্যাপক সাড়া দেওয়ার ঘটনাটি একটি রেকর্ড। কোনও নাগরিক দাবি নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের ভাবনা-চিন্তা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সর্বাধিক ৩০ দিনের মধ্যে যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন, তার পাঁচ গুণ মানুষ স্বাক্ষর করে তাঁদের মতামত জানিয়েছেন এ বার অনলাইনে হোয়াইট হাউসের পাঠানো প্রশ্নে। ফলে, পাকিস্তানকে এ বার আমেরিকা ‘সন্ত্রাসের মদতদাতা রাষ্ট্র’ হিসেবে ঘোষণা করবে কি না, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ‘বল’টা পৌঁছে গিয়েছে ওবামা প্রশাসনের ‘কোর্টে’। সেই ‘বল’টা ওবামা প্রশাসন এ বার কী ভাবে ‘রিটার্ন’ করবে, তারই অপেক্ষায় এখন গোটা বিশ্ব।

মার্কিন নাগরিকদের কাছে হোয়াইট হাউসের এই অনলাইনে পাঠানো প্রশ্নটির আদত ‘প্রশ্নকর্তা’ ছিলেন এক মার্কিন নাগরিক। গত ২১ সেপ্টেম্বর যিনি ওই প্রশ্নটি পাঠিয়েছিলেন হোয়াইট হাউসে। পাঠানো প্রশ্নের নীচে নিজের নাম স্বাক্ষর করেছিলেন ‘আরজি’ বলে। অনলাইনে সেই প্রশ্নটিই মার্কিন নাগরিকদের কাছে ‘ফরওয়ার্ড’ করে দিয়েছিল হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিস, ‘জনগণ-মন’ বুঝতে। মার্কিন নাগরিকরা কী ভাবছেন, সেটা আঁচ করতে।

মার্কিন সংবিধান বলে, এমন কোনও প্রশ্নে যদি ৩০ দিনের মধ্যে অন্তত এক লক্ষ মার্কিন নাগরিক কোনও মতামত জানিয়ে থাকেন, তা হলে তার ওপর মার্কিন প্রশাসনকে তার ভাবনা-চিন্তার কথা কোনও রাখ-ঢাক না রেখেই জানাতে হবে প্রকাশ্যে। পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসে মদতদাতা রাষ্ট্র’ বলে মনে করেন এমন পাঁচ লক্ষ মার্কিন নাগরিক এ বার হোয়াইট হাউসের পাঠানো প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। যা প্রয়োজনীয় সংখ্যার পাঁচ গুণ। ফলে, পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসের মদতদাতা রাষ্ট্র’ বলে মনে করে কি করে না, এই প্রশ্নটার উত্তরটা এ বার প্রকাশ্যে দিতেই হবে ওবামা প্রশাসনকে। মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী এটা অনিবার্যই। সর্বাধিক ৬০ দিনের মধ্যে।

ঘটনা হল, এর পরেও উৎসাহে ভাটা পড়েনি মার্কিন নাগরিকদের। জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী অঞ্জু প্রীত তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘‘আমরা যত ক্ষণ না কম করে দশ লক্ষ স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে পারছি, তত ক্ষণ থামছি না। ২১ অক্টোবর পর্যন্ত সেই সুযোগটা রয়েছে।”

ও দিকে সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত মার্কিন কংগ্রেসের হাউ়জ সাবকমিটির চেয়ারম্যান টেড পো ও ডানা রোহরাবাচার শনিবারই ‘পাকিস্তান স্টেট স্পনসর অফ টেররিজম ডেজিগনেশন অ্যাক্ট’ বিলটির খসড়া সংশোধনীটি আলোচনার জন্য তুলেছেন হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে।



এ পাতার আরও খবর

রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত
ন্যাটোর মিত্র রাশিয়ার সঙ্গে ‘সরাসরি যুদ্ধ’ বাধাগ্রস্ত করার জন্য মর্মান্তিক সতর্কতা জারি করেছে ন্যাটোর মিত্র রাশিয়ার সঙ্গে ‘সরাসরি যুদ্ধ’ বাধাগ্রস্ত করার জন্য মর্মান্তিক সতর্কতা জারি করেছে
রমজানে হামলা সহিংসতায় ইন্ধন জোগাচ্ছে রমজানে হামলা সহিংসতায় ইন্ধন জোগাচ্ছে
ভারতে ৯৭ কোটি নিবন্ধিত ভোটার নিয়ে সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নতুন সংসদ নির্বাচন করতে যাচ্ছে ভারত। ভারতে ৯৭ কোটি নিবন্ধিত ভোটার নিয়ে সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নতুন সংসদ নির্বাচন করতে যাচ্ছে ভারত।
ধর্ষণের অভিযোগের মুখে ট্রাম্পের সমর্থনের পক্ষে ন্যান্সি মেস, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার ধর্ষণের অভিযোগের মুখে ট্রাম্পের সমর্থনের পক্ষে ন্যান্সি মেস, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার
ফ্যানি কাপলানের বুলেটই লেনিনের মৃত্যুকে তরান্বিত করেছিল! ফ্যানি কাপলানের বুলেটই লেনিনের মৃত্যুকে তরান্বিত করেছিল!
নির্বাচন নিয়ে ইইউ প্রতিনিধিদের কোনো অবজারভেশন নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে ইইউ প্রতিনিধিদের কোনো অবজারভেশন নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠি বাংলাদেশের বাহিনীকে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে নিষিদ্ধ করার আহবান প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠি বাংলাদেশের বাহিনীকে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে নিষিদ্ধ করার আহবান
কাশ্মিরের স্বাধীনতাপন্থী নেতার মৃত্যুদণ্ড চায় ভারত      by আন্তর্জাতিক ডেস্ক      Published: 27 Maকাশ্মিরের স্বাধীনতাপন্থী নেতার মৃত্যুদণ্ড চায় ভারত      by আন্তর্জাতিক ডেস্ক      Published: 27 May 2023      Last Updated: 27 May 2023   ভারতের শীর্ষ সন্ত্রাসবিরোধী তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) আবারও জম্মু কাশ্মিরের একজন নেতৃস্থানীয় স্বাধীনতাপন্থী নেতার মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে। গত শুক্রবার এনআইএ দিল্লির হাইকোর্টে এ আবেদন করে সংস্থাটি। কিন্তু আদালত তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। ওই স্বাধীনতাপন্থী নেতা হলেন কাশ্মির লিবারেশন ফ্রন্টের (জেকেএলএফ) প্রধান ইয়াসিন মালিক। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবর।  jklfজেকেএলএফ চেয়ারম্যান ইয়াসিন মালিক  ভারত-শাসিত কাশ্মিরের একজন সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এনআইএর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী সোমবার শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।  ইয়াসিন মালিক সরকারনিযুক্ত আইনজীবী গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন। বিচার চলাকালে তিনি অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন এবং নিজেকে একজন মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবি করেন। চলতি মাসে আদালতে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস-সম্পর্কিত অভিযোগগুলো বানোয়াট এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার সংগঠন কাশ্মিরের স্বাধীনতা চায়। advertisement  ইয়াসিন বিচারককে বলেন, যদি স্বাধীনতা চাওয়া অপরাধ হয়, তাহলে আমি এই অপরাধে অপরাধী এবং এর পরিণতি মেনে নিতে প্রস্তুত। আদালত এনআইএর মৃত্যুদণ্ডের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ড এমন একটি শাস্তি যা সমাজের সমষ্টিগত চেতনাকে ধাক্কা দেয়।  ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদীরা ভারতকে স্বাধীনতা দিলেও কাশ্মির নিয়ে তারা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে দেয়। উভয় দেশই এই অঞ্চলটিকে নিজেদের দাবি করে এবং কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুদেশের মধ্যে এ পর্যন্ত তিনটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে।  ইয়াসিন মালিকের জেকেএলএফ ১৯৮৯ সালে কাশ্মিরের ভারত শাসিত অংশে একটি সশস্ত্র বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিল। তাতে আরও বিদ্রোহী গোষ্ঠী যুদ্ধে যোগ দেয়। এরপর ভারত বড় সামরিক অভিযান চালায়। সংঘাতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক, সৈন্য এবং বিদ্রোহী নিহত হয়।  ভারতে এ পর্যন্ত কাশ্মিরে ৫ লাখের বেশি সৈন্য মোতায়েন করেছে। কাশ্মির এখন পৃথিবীর সবচেয়ে সামরিকায়ন করা অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটিতে পরিণত হয়েছে। কাশ্মিরিরা দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতা দাবি করে আসছে।  ইয়াসিন মালিক ১৯৯৪ সালে স্বাধীনতার জন্য শান্তিপূর্ণ প্রচারণা চালাতে সশস্ত্র সংগ্রাম পরিত্যাগ করেন। পরবর্তী বছরগুলোতে তিনি ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রীসহ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। তাকে বারবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কাশ্মিরের আধা-স্বায়ত্তশাসন বাতিল করার কয়েক মাস আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।y 2023      Last Updated: 27 May 2023   ভারতের শীর্ষ সন্ত্রাসবিরোধী তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) আবারও জম্মু কাশ্মিরের একজন নেতৃস্থানীয় স্বাধীনতাপন্থী নেতার মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে। গত শুক্রবার এনআইএ দিল্লির হাইকোর্টে এ আবেদন করে সংস্থাটি। কিন্তু আদালত তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। ওই স্বাধীনতাপন্থী নেতা হলেন কাশ্মির লিবারেশন ফ্রন্টের (জেকেএলএফ) প্রধান ইয়াসিন মালিক। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবর।  jklfজেকেএলএফ চেয়ারম্যান ইয়াসিন মালিক  ভারত-শাসিত কাশ্মিরের একজন সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এনআইএর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী সোমবার শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।  ইয়াসিন মালিক সরকারনিযুক্ত আইনজীবী গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন। বিচার চলাকালে তিনি অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন এবং নিজেকে একজন মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবি করেন। চলতি মাসে আদালতে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস-সম্পর্কিত অভিযোগগুলো বানোয়াট এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার সংগঠন কাশ্মিরের স্বাধীনতা চায়। advertisement  ইয়াসিন বিচারককে বলেন, যদি স্বাধীনতা চাওয়া অপরাধ হয়, তাহলে আমি এই অপরাধে অপরাধী এবং এর পরিণতি মেনে নিতে প্রস্তুত। আদালত এনআইএর মৃত্যুদণ্ডের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ড এমন একটি শাস্তি যা সমাজের সমষ্টিগত চেতনাকে ধাক্কা দেয়।  ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদীরা ভারতকে স্বাধীনতা দিলেও কাশ্মির নিয়ে তারা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে দেয়। উভয় দেশই এই অঞ্চলটিকে নিজেদের দাবি করে এবং কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুদেশের মধ্যে এ পর্যন্ত তিনটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে।  ইয়াসিন মালিকের জেকেএলএফ ১৯৮৯ সালে কাশ্মিরের ভারত শাসিত অংশে একটি সশস্ত্র বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিল। তাতে আরও বিদ্রোহী গোষ্ঠী যুদ্ধে যোগ দেয়। এরপর ভারত বড় সামরিক অভিযান চালায়। সংঘাতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক, সৈন্য এবং বিদ্রোহী নিহত হয়।  ভারতে এ পর্যন্ত কাশ্মিরে ৫ লাখের বেশি সৈন্য মোতায়েন করেছে। কাশ্মির এখন পৃথিবীর সবচেয়ে সামরিকায়ন করা অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটিতে পরিণত হয়েছে। কাশ্মিরিরা দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতা দাবি করে আসছে।  ইয়াসিন মালিক ১৯৯৪ সালে স্বাধীনতার জন্য শান্তিপূর্ণ প্রচারণা চালাতে সশস্ত্র সংগ্রাম পরিত্যাগ করেন। পরবর্তী বছরগুলোতে তিনি ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রীসহ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। তাকে বারবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কাশ্মিরের আধা-স্বায়ত্তশাসন বাতিল করার কয়েক মাস আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কাশ্মিরের স্বাধীনতাপন্থী নেতার মৃত্যুদণ্ড চায় ভারত by আন্তর্জাতিক ডেস্ক Published: 27 Maকাশ্মিরের স্বাধীনতাপন্থী নেতার মৃত্যুদণ্ড চায় ভারত by আন্তর্জাতিক ডেস্ক Published: 27 May 2023 Last Updated: 27 May 2023 ভারতের শীর্ষ সন্ত্রাসবিরোধী তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) আবারও জম্মু কাশ্মিরের একজন নেতৃস্থানীয় স্বাধীনতাপন্থী নেতার মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে। গত শুক্রবার এনআইএ দিল্লির হাইকোর্টে এ আবেদন করে সংস্থাটি। কিন্তু আদালত তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। ওই স্বাধীনতাপন্থী নেতা হলেন কাশ্মির লিবারেশন ফ্রন্টের (জেকেএলএফ) প্রধান ইয়াসিন মালিক। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবর। jklfজেকেএলএফ চেয়ারম্যান ইয়াসিন মালিক ভারত-শাসিত কাশ্মিরের একজন সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এনআইএর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী সোমবার শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। টিআরটি ওয়ার্ল্ড। ইয়াসিন মালিক সরকারনিযুক্ত আইনজীবী গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন। বিচার চলাকালে তিনি অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন এবং নিজেকে একজন মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবি করেন। চলতি মাসে আদালতে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস-সম্পর্কিত অভিযোগগুলো বানোয়াট এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার সংগঠন কাশ্মিরের স্বাধীনতা চায়। advertisement ইয়াসিন বিচারককে বলেন, যদি স্বাধীনতা চাওয়া অপরাধ হয়, তাহলে আমি এই অপরাধে অপরাধী এবং এর পরিণতি মেনে নিতে প্রস্তুত। আদালত এনআইএর মৃত্যুদণ্ডের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ড এমন একটি শাস্তি যা সমাজের সমষ্টিগত চেতনাকে ধাক্কা দেয়। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদীরা ভারতকে স্বাধীনতা দিলেও কাশ্মির নিয়ে তারা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে দেয়। উভয় দেশই এই অঞ্চলটিকে নিজেদের দাবি করে এবং কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুদেশের মধ্যে এ পর্যন্ত তিনটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। ইয়াসিন মালিকের জেকেএলএফ ১৯৮৯ সালে কাশ্মিরের ভারত শাসিত অংশে একটি সশস্ত্র বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিল। তাতে আরও বিদ্রোহী গোষ্ঠী যুদ্ধে যোগ দেয়। এরপর ভারত বড় সামরিক অভিযান চালায়। সংঘাতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক, সৈন্য এবং বিদ্রোহী নিহত হয়। ভারতে এ পর্যন্ত কাশ্মিরে ৫ লাখের বেশি সৈন্য মোতায়েন করেছে। কাশ্মির এখন পৃথিবীর সবচেয়ে সামরিকায়ন করা অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটিতে পরিণত হয়েছে। কাশ্মিরিরা দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতা দাবি করে আসছে। ইয়াসিন মালিক ১৯৯৪ সালে স্বাধীনতার জন্য শান্তিপূর্ণ প্রচারণা চালাতে সশস্ত্র সংগ্রাম পরিত্যাগ করেন। পরবর্তী বছরগুলোতে তিনি ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রীসহ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। তাকে বারবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কাশ্মিরের আধা-স্বায়ত্তশাসন বাতিল করার কয়েক মাস আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।y 2023 Last Updated: 27 May 2023 ভারতের শীর্ষ সন্ত্রাসবিরোধী তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) আবারও জম্মু কাশ্মিরের একজন নেতৃস্থানীয় স্বাধীনতাপন্থী নেতার মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে। গত শুক্রবার এনআইএ দিল্লির হাইকোর্টে এ আবেদন করে সংস্থাটি। কিন্তু আদালত তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। ওই স্বাধীনতাপন্থী নেতা হলেন কাশ্মির লিবারেশন ফ্রন্টের (জেকেএলএফ) প্রধান ইয়াসিন মালিক। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবর। jklfজেকেএলএফ চেয়ারম্যান ইয়াসিন মালিক ভারত-শাসিত কাশ্মিরের একজন সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এনআইএর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী সোমবার শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। টিআরটি ওয়ার্ল্ড। ইয়াসিন মালিক সরকারনিযুক্ত আইনজীবী গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন। বিচার চলাকালে তিনি অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন এবং নিজেকে একজন মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবি করেন। চলতি মাসে আদালতে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস-সম্পর্কিত অভিযোগগুলো বানোয়াট এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার সংগঠন কাশ্মিরের স্বাধীনতা চায়। advertisement ইয়াসিন বিচারককে বলেন, যদি স্বাধীনতা চাওয়া অপরাধ হয়, তাহলে আমি এই অপরাধে অপরাধী এবং এর পরিণতি মেনে নিতে প্রস্তুত। আদালত এনআইএর মৃত্যুদণ্ডের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ড এমন একটি শাস্তি যা সমাজের সমষ্টিগত চেতনাকে ধাক্কা দেয়। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদীরা ভারতকে স্বাধীনতা দিলেও কাশ্মির নিয়ে তারা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে দেয়। উভয় দেশই এই অঞ্চলটিকে নিজেদের দাবি করে এবং কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুদেশের মধ্যে এ পর্যন্ত তিনটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। ইয়াসিন মালিকের জেকেএলএফ ১৯৮৯ সালে কাশ্মিরের ভারত শাসিত অংশে একটি সশস্ত্র বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিল। তাতে আরও বিদ্রোহী গোষ্ঠী যুদ্ধে যোগ দেয়। এরপর ভারত বড় সামরিক অভিযান চালায়। সংঘাতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক, সৈন্য এবং বিদ্রোহী নিহত হয়। ভারতে এ পর্যন্ত কাশ্মিরে ৫ লাখের বেশি সৈন্য মোতায়েন করেছে। কাশ্মির এখন পৃথিবীর সবচেয়ে সামরিকায়ন করা অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটিতে পরিণত হয়েছে। কাশ্মিরিরা দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতা দাবি করে আসছে। ইয়াসিন মালিক ১৯৯৪ সালে স্বাধীনতার জন্য শান্তিপূর্ণ প্রচারণা চালাতে সশস্ত্র সংগ্রাম পরিত্যাগ করেন। পরবর্তী বছরগুলোতে তিনি ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রীসহ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। তাকে বারবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কাশ্মিরের আধা-স্বায়ত্তশাসন বাতিল করার কয়েক মাস আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জি২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে ফ্রান্স ও স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক মোমেনের জি২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে ফ্রান্স ও স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক মোমেনের

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)