সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » বিশ্ব সংবাদ | রাজনীতি » ২৪ ঘণ্টায় ৫ বার আক্রমণ, যুদ্ধ বাধাতে মরিয়া পাকিস্তান
২৪ ঘণ্টায় ৫ বার আক্রমণ, যুদ্ধ বাধাতে মরিয়া পাকিস্তান
পক্ষকাল ডেস্কঃ
ফের সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান। গত ২৪ ঘণ্টায় এই নিয়ে পাঁচ বার। জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার সাওজিয়ান, মান্ডি, শাহপুর ও আখুনরে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন ভারতীয় জওয়ানরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, ‘আমাদের জওয়ানরা যোগ্য জবাব দিচ্ছেন।’
এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, সোমবার সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ পুঞ্চের শাহপুর সেক্টরে LOC বরাবর তীব্র গোলাগুলি শুরু হয়। গুলি চলে সাওজিয়ান, মান্ডি ও আখনুরেও। এর আগে কৃষ্ণগাটি সেক্টরেও এলোপাথারি গুলি ছুটে এসেছে পাক সেনাদের থেকে। BSF-এর এক কর্তা জানিয়েছেন, সীমান্তরেখার ওপার থেকে আচমকাই সন্দেহজনকভাবে ছুটে আসতে দেখা যায় কয়েকজনকে। শত্রুরা পরিস্থিতি আরও ঘোরালো করে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে দেশের জওয়ানরাও তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের মাধ্যমে পাকিস্তান এ দেশে জঙ্গি ঢোকাতে মরিয়া বলে মনে করছেন অনেকে।
রাজনাথ সিং থেকে শুরু করে কিরেণ রিজিজু - প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, ভারতীয় জওয়ানরা এধরনের হামলা মোকাবিলা করতে জানেন। যোগ্য জবাব দেওয়া হচ্ছে শত্রুদের। গোটা পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জানিয়ে এসেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।
একই রকম খবর
• পাক-চিন ‘অশুভ আঁতাঁতের’ বিরুদ্ধে বিক্ষোভ বালোচদের
• পাককে কোণঠাসা করতে স্বাক্ষরের ঢল
• ‘সাম্রাজ্যবাদ নয়, বলিদানেই বিশ্বাসী ভারত’
• সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে ভয় পেয়ে পাক স্পনসরড ক্যাম্প থেকে পালাল ৩০০ জঙ্গি
• আশঙ্কা জঙ্গিহানার, দেশজুড়ে হাই অ্যালার্ট
রবিবারে রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লায় ৪৬ রাষ্ট্রীয় রাইফেলের সেনা ক্যাম্পে ঢোকার চেষ্টা চালায় এক দল জঙ্গি। শুরু হয় গুলির লড়াই। সেনার গুলিতে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দুই বিএসএফ জওয়ান। শহিদ হয়েছেন এক বিএসএফ জওয়ান। তবে, সেনাসূত্রে কিছু জানানো হয়নি। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে এই হামলার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছেন। রবিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বারামুল্লার সেনা ছাউনির কাছে গোলাগুলির শব্দ শোনেন স্থানীয়রা৷ জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা টুইট করে সে খবর জানানও। তার পরই খবর মেলে, ২-৩ জন, মতান্তরে ৫-৬ জন জঙ্গি রাত সাড়ে দশটা নাগাদ সেনাঘাঁটিতে ঢোকার চেষ্টা করে। জঙ্গিদের কয়েকজন ক্যাম্পের গেট দিয়ে ও বাকিরা পাশের পার্ক দিয়ে ঢোকার চেষ্টা চালায়। গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটানোর পর জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে৷ উরির হামলা এবং ভারতীয় সেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর এমনিতেই সব সেনা ঘাঁটিতে কড়া সতর্কতা জারি ছিল। ফলে সেনার পাল্টা জবাব দিতেও সময় লাগেনি। জঙ্গিদের সম্ভবত পরিকল্পনা ছিল, ঘাঁটির প্রবেশপথে গ্রেনেডের শব্দ শুনে সেনারা সেদিকে ছুটে যাবে, তখন পার্কের লাগোয়া পাঁচিল বেয়ে ঘাঁটির ভিতরে প্রবেশ করবে বাকিরা। কিন্ত্ত সেনা তত্পরতায় তা সম্ভব হয়নি।